শিক্ষার আলো ডেস্ক
বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের জাপান প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা শিথিলে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। জাপানে পড়তে ইচ্ছুক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও অ্যাসোসিয়েশন অব জাপানিজ ল্যাংগুয়েজ ইনস্টিটিউট ইন বাংলাদেশের (আজলিব) পক্ষে এই আহ্বান জানানো হয়।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আজলিবের সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াকিল আহমেদ।
তিনি বলেন, জাপানে পড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা করোনার কারণে প্রায় দুই বছর ধরে আটকে আছে। তাদের মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীর পাশাপাশি সবচেয়ে বড় সংখ্যক জাপানিজ স্কুলে ল্যাংগুয়েজ প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা।
ওয়াকিল আহমেদ বলেন, জাপান যাওয়া বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মানসিক চাপ বাড়ছে। দীর্ঘদিনের ভাষা শিক্ষা ও অন্যান্য প্রস্তুতির পরেও এমন থমকে যাওয়ায় হতাশায় পড়ে যাচ্ছে সব শিক্ষার্থীরা।
‘আমরা জাপান সরকারের সব সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। গত ২৮ জানুয়ারি সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে নিজেদের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে নতুন বিদেশিদের আগমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জাপান সরকার। যা ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে তুলে দেওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হবে কি না সে ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা অনিশ্চয়তায় রয়েছে।’
তিনি বলেন, এর মাঝে ২০ দিন ভিসার আবেদনের জন্য সব খোলা থাকলেও শুরু হবার আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। জানুয়ারির শেষ দিকে সরকারি বৃত্তি পাওয়া ৮৭ জন বিদেশি শিক্ষার্থীকে জাপান সরকার বিশেষ বিবেচনায় প্রবেশ করতে দিয়েছিল।
জাপান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জাপান সরকারকে জানাতে চাই, আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় সব সুরক্ষা মানতে প্রস্তুত। পর্যাপ্ত টিকা, চিকিৎসকের পরামর্শ, কোয়ারেন্টিন সবকিছু মেনেই জাপানে যেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা। আমরা আশা করছি, জাপান সরকার বর্তমানে হতাশাগ্রস্ত, মানসিক চাপে থাকা শিক্ষার্থীদের কথা বিশেষ বিবেচনা করবে। বাংলাদেশসহ সব দেশের শিক্ষার্থীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে জাপানে প্রবেশ করতে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
এক্সিম এডুকেশনের এমডি মেজাম্মেল হক মাসুমসহ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post