নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ সোমবার থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়া হবে। আগামী মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে সকল বিভাগ অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করতে পারবে। রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরী সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল সমূহ খুলে দেওয়া হবে। এরপর আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করতে পারবে।সরকারি অন্য কোনো বিধিনিষেধ না থাকলে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারী থেকে সশরীরে ক্লাস শুরু হবে।
গত ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সঙ্গে এদিন দুপুরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো।
এর আগে, গত ১৩ জানুয়ারি থেকে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এরপর ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলা চালায় পুলিশ। ওই ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে দায়ী করে তার পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা।
এরপর ১৬ জানুয়ারি বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
এরপর শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় উপাচার্যকে দায়ী করে তার পদত্যাগ দাবি করে এতদিন আমরণ অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) টানা সাতদিনের অনশন ভাঙলেও উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আলোচনায় অবশেষে শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে ঘোষণাে আসে , দাবি পূরণে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে আমরা আপাতত আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। আমরা চাই কাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হোক। বিশ্ববিদ্যালয় স্বাভাবিকভাবে চলুক। যাতে শিক্ষার্থীদের সেশনজটে পড়তে না হয়।আমরা উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত করেছিলাম। একই সঙ্গে আমরা এও চাই না বিশ্ববিদ্যালয় আর একটি দিনও বন্ধ থাকুক। তাই উপাচার্য তার কার্যক্রম শুরু করলে আমরা আপাতত কোনো বাধা দেব না।
Discussion about this post