নিজস্ব প্রতিবেদক
২০২০-২১ সেশনের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘ক’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের ফাঁকা আসনগুলোতে অপেক্ষমান তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানোর দাবি জানানো হয়েছে। আজ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সংশ্লিষ্ট দুেই ইউনিটের ডিন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয় বলে জানান তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৬ জানুয়ারি ভর্তি কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর ‘ক’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের বিভিন্ন বিভাগ থেকে অনেক শিক্ষার্থী তাদের ভর্তি বাতিল করেছে। পাশাপাশি তারা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজগুলো এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। এদিকে ডিন অফিসগুলো থেকে জানানো হয়েছে যে, এই দুই ইউনিটে আর কোন ভর্তি কার্যক্রম চলবে না। ফাঁকা সিটগুলো ফাঁকাই থাকবে। অন্যদিকে ‘খ’ ও ‘গ’ ইউনিটে খালি আসন পূরণ করার জন্য ইতিমধ্যে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
তারা আরো জানান, গত ৫ ডিসেম্বর ৬০০০ সিরিয়াল পর্যন্ত শিক্ষার্থীদেরকে ডাকা হয়েছে এবং SIF ফর্ম জমা নেয়া হয়েছে এই জন্য যে, ভর্তি কার্যক্রম শেষ হবার পর আসন খালি থাকা সাপেক্ষে অপেক্ষমান শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবে। কিন্তু হঠাৎ করে আসন খালি রাখার সিদ্ধান্ত আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। যে কারণে আমরা চরম হতাশা আর সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি।
এক শিক্ষার্থী বলেন, ঢাবির ‘ক’ ইউনিটে ১ম দফায় ভর্তি শুরু হয় ৩০ ডিসেম্বর এবং শেষ হয় ৬ জানুয়ারি। ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অনেকে অন্যত্র চান্স পাওয়ায় ঢাবিতে ভর্তি বাতিল করে। যার ফলে ঢাবিতে অনেক সিট খালি হয়।
আরেক শিক্ষার্থী জানান, গত ২২ জানুয়ারি ‘ডি’ ইউনিটে ২য় কলের মাধ্যমে সিট ফিলাপ করা হয়। ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে ভর্তি বাতিল করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানানো হয়েছে খালি আসন গুলো খালি রাখবে যা অযৌক্তিক।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সাদিয়া ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী জানান, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাঁকা আসন পূরণ করা হচ্ছে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন তা হচ্ছে না? তিনি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ফাঁকা আসনগুলো পূরণ করার দাবি জানান।
আরেক শিক্ষার্থী জানান, ঢাবির ‘ক’ ও ‘ঘ’ ইউনিটে অনেক আসন ফাঁকা রয়েছে। কিন্তু সেই ফাঁকা আসনে কোনো ছাত্রছাত্রী ভর্তি করানো হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ বলছেন ফাঁকা আসন ফাঁকাই থাকবে। কিন্তু অন্যান্য ইউনিটে ওয়েটিং থেকে ছাত্রছাত্রীদের কল করে ফাঁকা আসন পূরণ করা হয়েছে। এই অবস্থায় দ্রুত আসনগুলো পূরণের দাবি জানাচ্ছি। না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মানববন্ধনকারীরা বলেন, ঢাবিতে আমরা ওয়েটিং লিস্টে থাকায় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই নাই। আমরা অনতিবিলম্বে ঢাবির ফাঁকা আসনগুলো পূরণের দাবি জানাই। ভিসি মহোদয় আমাদের দাবি না মানলে আমরা পরবর্তীতে আরো কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হব।ভিসি মহোদয় আমাদের ভর্তি নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে না পারেন তাহলে আমরা আমরণ অনশন করবো এবং রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করবো।
Discussion about this post