শিক্ষার আলো ডেস্ক
পছন্দের কলেজে আবেদন করে ভর্তির জন্য তৃতীয় তথা শেষ ধাপেও তারা মনোনীত হননি ,এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সারাদেশে প্রায় অর্ধলক্ষ শিক্ষার্থী । এর মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী রয়েছেন ১ হাজার ৩০০ জন।
আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য সারাদেশে ১৫ লাখ ৬ হাজার ৭৬৩ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে শেষ ধাপ পর্যন্ত ১৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৩৬ জন শিক্ষার্থী পচ্ছন্দের কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হন। আবেদন করেও সারাদেশে ৪৩ হাজার ৩৩০ জন শিক্ষার্থী পছন্দের কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন না। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া ১ হাজার ৩০০ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে রয়েছেন ৫৪৪ জন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক আবু তালেব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, তৃতীয় ধাপের মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৪২ জন আবেদন করে পচ্ছন্দের কলেজ পেয়েছে। তারা আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিশ্চায়ন করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া যাবে ১৯ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ক্লাস শুরু হবে ২ মার্চ।
তিনি বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার দুই লাখ শিক্ষার্থী বেশি ভর্তি হয়েছে। তবে এবার আবেদন করেও শেষ ধাপ পর্যন্ত পছন্দের কলেজ পায়নি ৪৩ হাজার ৩৩০ জন শিক্ষার্থী। দেশের ১৪৩টি কলেজে কোনো শিক্ষার্থী আবেদন করেনি। সেসব প্রতিষ্ঠানের সব আসন খালি। আমরা চতুর্থ ধাপে আবেদন ও মেধা তালিকা প্রকাশের চিন্তাভাবনা করছি। সব শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এক পর্যায়ে সফটওয়্যারে কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি থেকে বঞ্চিত হবে, এক্ষেত্রে কী করণীয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরই শীর্ষ পর্যায়ের কলেজগুলোতে ভর্তির লক্ষ্য থাকে। সে কারণে সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসন সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি আবেদন জমা পড়ে। ফলে আসন পূর্ণ হলে আর সেখানে কেউ সুযোগ পায় না। সে কারণেই অনকে জিপিএ-৫ পেয়েও পছন্দের কলেজে ভর্তি থেকে বঞ্চিত হয়। আমাদের ভর্তির সফটওয়্যার নির্ভুলভাবে কাজ করছে। তাই আমরা চেষ্টা করছি শেষ পর্যন্ত সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে।
তবে আগের বছরের মতো কলেজে আসন খালি থাকার ভিত্তিতে উন্মুক্ত ভর্তির কথা এবার ভাবা হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
Discussion about this post