শিক্ষার আলো ডেস্ক
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে পরিবেশ বিষয়ক দু’দিনব্যাপী প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ইকোসিস্টেম রেস্টোরেশন’।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তবে বাংলাদেশ পরিবেশের ক্ষতি না করেও আজ প্রথম সারির ভুক্তভোগী দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে। এজন্য বর্তমান সরকার জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ইস্যুকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। এ বিষয়ে ন্যাশনাল এডাপটেশন প্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রিসার্চ এবং নলেজ ম্যানেজমেন্টকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনে পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়ে বিশ্ব কতটা চিন্তিত সেটা বুঝতেই এই সম্মেলন।
সভাপতির বক্তব্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ও সম্মেলনের চিফ প্যাট্রন প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, এই সম্মেলনটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্মেলনে শুধু দেশের জন্যই নয় আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত নিয়েও আলোচনা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্লিনারি স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত। প্যাট্রন হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা এবং জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মেলনের অরগানাইজিং সেক্রেটারি সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সম্মেলনের অরগানাইজিং কমিটির কনভেনর প্রফেসর ড. দিলীপ কুমার দত্ত।
এর আগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন শুরু হয়। এরপর অতিথিবৃন্দ এবং বিদেশি ডেলিগেটদের ফুল ও উত্তরীয় দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সম্মেলনের বিষয়ে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংগঠনের অংশগ্রহণে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। এ সময় ভাইস-চ্যান্সেলর ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে খ্যাতনামা পরিবেশবিদ প্রফেসর ড. আলী রেজা খান ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইডেনসহ দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী সশরীরে এবং ভার্চ্যুয়ালি এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে ৬টি কি-নোট পেপার এবং ১২৫টি গবেষণা নিবন্ধ উপস্থাপিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও সম্মেলনে ৬০ জন তরুণ গবেষকের গবেষণা নিবন্ধও উপস্থাপিত হবে।
Discussion about this post