শিক্ষার আলো ডেস্ক
সারাদেশে ১২-১৭ বছর বয়সী এক কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার শিক্ষার্থী করোনার প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের আওতায় এসেছে প্রায় অর্ধলাখ। সেই হিসাবে প্রথম ডোজ পাওয়া ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী দুই ডোজ টিকা পায়নি।
ফলে ক্লাসে আসার ইচ্ছা থাকলেও অনেকে আসতে পারছে না। তবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের এ আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানা গেছে, সারাদেশে ১২-১৭ বছরের এক কোটি ২৮ লাখ শিক্ষার্থী থাকলেও তাদের মধ্যে এক কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রথম দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী দুই ডোজের আওতায় এসেছে। দ্বিতীয় ডোজ না পাওয়ায় ৭৮ লাখ শিক্ষার্থী ইচ্ছা থাকলেও ক্লাসে আসতে পারছে না।
এ বিষয়ে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ৪৭ লাখ শিক্ষার্থী। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রথম ডোজ পাওয়া শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজের আওতায় আনতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মাদরাসা, কারিগরি ও কওমি শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের টিকার দুই ডোজের আওতায় আনতে সব জেলার উপ-পরিচালকদের সমন্বয়ে মাঠ কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
এদিকে, মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) প্রথম দিনে ঢাকা মহানগরের স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বেশি থাকলেও মফস্বলে এ হার অনেক কম বলে জানা গেছে। অনেকে ক্লাসে আসতে চাইলেও টিকার দুই ডোজ না পাওয়ায় আসতে পারছে না। অনেকে আবার এক ডোজ নিয়েও ক্লাসে উপস্থিতি হয়। কেউ কেউ আবার টিকা না নিয়েও ক্লাসে এসেছেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত জানাতে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রথম ডোজ পাওয়া শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজের আওতায় আনা হবে। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে পাঠদান পরিচালনা করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।
Discussion about this post