নিজস্ব প্রতিবেদক
৪১ হাজার আসন শূণ্য থাকার পরও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে আর ভর্তি নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে চলেছে ভর্তিচ্ছুরা। তৃতীয় রিলিজ স্লিপের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছেন তারা।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) পড়ানো হয় ৮৮১টি কলেজে। এর মধ্যে সরকারি কলেজ ২৬৪টি এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৬১৭টি। স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে প্রথম বর্ষে ভর্তিযোগ্য মোট আসন আছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি। আর ডিগ্রিতে (পাস কোর্স) প্রথম বর্ষে ভর্তিযোগ্য আসন আছে ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৯০টি। সারা দেশের ১ হাজার ৯৬৯টি কলেজে ডিগ্রি কোর্সে পড়ানো হয়। ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছেন ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৭৮৬ শিক্ষার্থী। আসন শূণ্য রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪১ হাজার। ইউজিসির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান), স্নাতক (পাস), কারিগরি ও সমমান পর্যায়ে প্রথম বর্ষে আসন শূণ্য ছিলো ২৪ হাজার ৬৯৪টি।
তথ্যমতে, গত ১৮ অক্টোবর থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি কার্যক্রমে প্রথম রিলিজ স্লিপের আবেদন শুরু হয়। শেষ হয় ৩১ অক্টোবর। পরে গত ২৪ নভেম্বর থেকে ২য় রিলিজ স্লিপের আবেদন শুরু হয়। এ ধাপের আবেদন শেষ হয়েছে গত ৬ ডিসেম্বর। এরপর থেকেই ভর্তিচ্ছুরা তৃতীয় রিলিজ স্লিপের দাবি তোলেন। ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর থেকে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে।
দ্বিতীয় রিলিজ স্লিপে আবেদন করেও আসন না পাওয়া ভর্তিচ্ছুদের বিশাল একটি অংশ ভর্তি নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। অটোপাসের কারণে অনেক ভর্তিচ্ছু গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষাও অংশ নিতে পারেননি। এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েও আবেদন করে আসন পাচ্ছেন না। তাই ভর্তিচ্ছুরা তৃতীয় রিলিজ স্লিপের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, আসন খালি থাকলেও এখন নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।কারণ কিছুদিন পরই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করালে তারা তো প্রিপারেশন নিতে পারবে না। না পড়িয়ে কারো পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয়। আবার এদের জন্য অপেক্ষা করলে সেশনজটে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। কিছুদিন পর আবার নতুন বর্ষের (২০২১-২০২২) ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে।
Discussion about this post