শিক্ষার আলো ডেস্ক
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিচার চাইতে গিয়ে হামলার শিকার হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোপালগঞ্জের গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, এই হামলার পর গোপালগঞ্জের সকল স্তরের জনগনের উপর থেকে তারা আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ না করলে এবং ধর্ষণের সঠিক বিচার না হলে এ ঘটনায় বিচার না পেলে একযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পদত্যাগ ও শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা থেকে ইস্তফা দিয়ে চলেন যাবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান।
এসময় গতকাল এর ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম এর সময় শেষ হলে লাগাতার ভাবে অবস্থান কর্মসূচিরও ঘোষণা দেন তারা।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ২৫ মিনিটে গোপালগঞ্জ জেলা স্কুলের নির্মাণাধীন ভবনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার বন্ধুর সঙ্গে গোপালগঞ্জ সদরের নবীনবাগ হেলিপ্যাডের সামনে থেকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তাদের অটোতে তুলে নেওয়া হয়। পরে ৭-৮ জন মিলে তাদের গোপালগঞ্জ জেলা স্কুলের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে বন্ধুকে মারধর করে ওই শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে শিক্ষার্থীরা প্রথমে সদর থানা এবং পরে মহাসড়ক অবরোধ করে। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় প্রথম দফায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঘোনাপাড়া মোড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় কয়েকজন আহত হন। এরপর দ্বিতীয় দফায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো-
১. অভিযুক্তদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার, শনাক্ত করে নাম প্রকাশ করে অতিদ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড/ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।
২. অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ভিসির ওপর ন্যাক্কারজনক হামলায় হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
৩. ধর্ষণের ঘটনায় আন্দোলনরত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ভিসিকে শিবির বলে হামলায় স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অবস্থান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি/ভিডিও কনফারেন্সে অবগত করতে হবে।
৪. ক্যাম্পাসে শতভাগ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
Discussion about this post