নিজস্ব প্রতিবেদক
নতুন আশা নিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। আর এর সঙ্গে সঙ্গে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে র্যাগিং নামক অপসংস্কৃতি। র্যাগিং শব্দের অর্থ নাকি ‘পরিচয়পর্ব’। কিন্তু বাস্তবে পরিচয়পর্বের নামে চলে মানসিক নির্যাতন।
শারীরিক নির্যাতনের মধ্যে আছে কান ধরে ওঠবস করানো, রড দিয়ে পেটানো, পানিতে চুবানো, উঁচু ভবন থেকে লাফ দেয়ানো, সিগারেটের আগুনে ছ্যাঁকা দেয়া, গাছে উঠানো, ভবনের কার্নিশ দিয়ে হাঁটানো, এমনকি দিগম্বর করা পর্যন্ত। আর মানসিক নির্যাতনের মধ্যে আছে গালিগালাজ করা, কুৎসা রটানো, নজরদারি করা এবং নিয়মিত খবরদারি করা।
এর ফলে অনেক শিক্ষার্থী আতঙ্কে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যায়। কাউকে কাউকে ডাক্তারের শরণাপন্নও হতে হয়। বস্তুত, ক্যাম্পাসে আসা নবীনরা সর্বদাই র্যাগিংয়ের ভয়ে ভীত থাকে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং নামক অপসংস্কৃতি মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।
তাই র্যাগিং নিয়ে প্রথম থেকেই সতর্ক থাকছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রক্টরিয়াল দল।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কুবিতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। তাই আজ থেকেই সক্রিয় থাকছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল দল। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কাজী মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, নতুন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে। তারা যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে না পড়ে তাই আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছি। প্রতিটা বিভাগের চেয়ারম্যান, অনুষদের ডিন এবং সব প্রভোস্টদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলে দেওয়া হয়েছে। আশা করি র্যাগিংয়ের মতো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবো। যদি এমন কিছু ঘটে তবে আমাদের দ্রুত জানানোর অনুরোধ করছি, জানানো মাত্র কঠোর ব্যবস্থা নিবো।
Discussion about this post