শিক্ষার আলো ডেস্ক
আজ বুধবার (২ মার্চ) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, একটি জাতির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পেছনে যে সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পটভূমির প্রয়োজন ছিল সেটার প্রথম এবং প্রধান যোগানদাতা ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিশ্বে এমন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই যেটি একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পটভূমি তৈরি করে। রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক ধাপ থেকে শুরু করে চুড়ান্ত বিজয় পর্যন্ত যে বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করেছিল সেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সে কারণেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার চেয়ে স্বতন্ত্র।
এসময় ভিসি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে তৎকালীন ইকবাল হলের শিক্ষার্থীরা লাল সবুজের পতাকা বানিয়েছিল। এটিই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যেটি আমাদের অনুপ্রেরণা ও শক্তিতে পরিণত হয়। তিনি আরও বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতাও বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বতন্ত্র। আমাদের সৌভাগ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেধা, দক্ষতা ও মননশীলতাকে উপজীব্য করেই এই মহৎ কার্য সম্পন্ন করেছিলেন।
প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ১৯৭১ সালে এই জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে নির্দেশনা দেওয়া হয় যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ আসন্ন। এখন আমরা এটি পালন করি এদেশের তরুন প্রজন্মকে দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে অবহিত করতে।
তিনি বলেন, এখনো বাংলাদেশের পাকিস্তান বানানোর মতো ষড়যন্ত্র অব্যহত আছে। এদেশের তরুণ সমাজকে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। অনুষ্ঠানের সমন্বয় করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইঁয়া।
Discussion about this post