শিক্ষার আলো ডেস্ক
ছাত্রলীগের রাজনীতি না করায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে আমরণ অনশন করতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় নজরুল ভাস্কর্যের সামনে মৌন মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেছেন শতাধিক শিক্ষার্থী।
এ সময় তারা বলেন, ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আর সহ্য করব না। দ্রুত দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। নয়তো বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসব।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দিনগত মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবের হয়ে রাজনীতি করতে নিহাদকে নির্যাতন করে ছাত্রলীগের কলা অনুষদের সভাপতি আবু নাঈম আব্দুল্লাহসহ তার অনুসারীরা। বঙ্গবন্ধু হলের ৬০৮ নং কক্ষে থাকা নিহাদকে ডেকে নিয়ে চলে এ নির্যাতন। পরদিন সকালে তাকে প্রথমে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওয়ালিদ নিহাদকে। এরপর ঘটনা তদন্তে দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে, লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের ওয়ালিদ নিহাদের দেওয়া অভিযোগের মধ্যে থাকা একই বিভাগের অভিযুক্ত দুই নির্যাতনকারী ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মুমিন সরকার ও তানভীর আহমেদ তুহিনকে বিভাগ থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত বিভাগটির সকল ক্লাস পরীক্ষাও বর্জন করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
অপরদিকে নিহাদের দেওয়া অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আরেকটি চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে।
অন্যদিকে ছাত্র নির্যাতন এবং অপ্রীতিকর এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো শিক্ষার্থীর সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা চলমান থাকলে ভয় ও আতঙ্কের সংস্কৃতি সামগ্রিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সব সদস্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে।
Discussion about this post