আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জগন্নাত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১২ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, টিএসসি ও মালিটোলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন- নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী গাজী মো. শামসুল হুদা ও খাইরুল আমান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল বারেক এবং ফিন্যান্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. সাঈদ। তারা সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির অনুসারী।
এছাড়াও সংঘর্ষে আহত হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসাইনের অনুসারী মেরাজ হোসাইন। তিনি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নবীন শিক্ষার্থীদের দলে ভেড়ানোকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের একজনকে টিএসসিতে মারধর করে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কয়েকজন। পরে সভাপতি প্যানেলের সিনিয়র কয়েকজন নেতাকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের দুইজনকে জখম করেন। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে পুরান ঢাকার মালিটোলা পার্কে দুই গ্রুপের মধ্যে আবার মারামারির ঘটনা ঘটে।
আহত সবাইকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গাজী মো. সামসুল হুদা গুরুতর আহত হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করার জন্য ব্যক্তিস্বার্থে এসব কর্মকাণ্ড করছে। যারা মারামারি করেছে তারা ছাত্রলীগের কেউ নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমার অবগত হয়েছি। মারামারিতে জড়িত ছাত্রদের চিহ্নিত করে রেখেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তাদের বিরিুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post