শিক্ষার আলো ডেস্ক
আজকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় আছে এবং আগামী ১০ বছর পরে বিশ্ববিদ্যালয়কে কোথায় দেখতে চাই, সেখানে যেতে হলে কোন পথে যেতে হবে সেটি ভাবতে হবে। ১০ বছর আগে একটি বিভাগ খুলেছি সেটির এখন প্রয়োজন আছে কিনা ভাবতে হবে। কর্মক্ষেত্র ও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চলতে হবে। ধারণক্ষমতা অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করালে বিভিন্ন সমস্যা অনেকখানি কমে যাবে।
রবিবার (১৩ মার্চ) দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের উদ্বোধনকালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি দক্ষতা অর্জনের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। তাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুধু সার্টিফিকেট নিলেই প্রকৃত শিক্ষা অর্জন হবে না, সফট স্কিলের ওপর জ্ঞান ও দক্ষতা থাকতে হবে।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী হাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে পৌঁছানোর পর শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। পরে মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শেখ রাসেল হল সংলগ্ন মাঠে জ্যোতির্ময় বঙ্গবন্ধু শীর্ষক স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন এবং পক্ষকালব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. জাকিয়া তাবাসসুম জুঁই, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান, হাবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ইমরান পারভেজসহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক এম. কামরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. দীপু মনি আরও বলেন, আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কারিগরী শিক্ষা ও গবেষণার উপরে জোর দিচ্ছি। একইসঙ্গে আমরা চাই শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করুক, সাংস্কৃতিক চর্চা করুক। তবে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যানের আগে একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান জরুরি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, হাবিপ্রবিতে বিদেশি শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করতে আসে এটা আমাদের জন্য গর্বের। জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রুপান্তর করতে শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়ার বিকল্প নেই। শিক্ষাখাতকে এগিয়ে নিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
Discussion about this post