নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ঢাবিতে সাত দিনব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক বিশেষ ভাস্কর্য প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে ১৮ মার্চ থেকে। প্রদর্শনী শেষ হবে ২৪ মার্চ বিকেলে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রদর্শনী প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ওসমান জামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। প্রদর্শনীটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ঢাবি চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের তত্ত্ববধানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারপারসন ও ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক বিশেষ ভাস্কর্য প্রদর্শনী বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব নাসিমা হক মিতু।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক বিশেষ ভাস্কর্য প্রদর্শনী বিষয়ে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট, বিভাগগুলোসহ ভাস্করদের প্রাক্তনি সংঘের অনলাইন বিভিন্ন গ্রুপে অবহিত করে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহী শিল্পীদের আহ্বান করা হয়। প্রাথমিকভাবে আগ্রহী শিল্পীদের সর্বোচ্চ দুটি কাজের আলোকচিত্র জমা দেওয়ার জন্য বলা হয় এবং এর মধ্যে থেকে নির্বাচিত কাজ নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ভাস্কর্য ছাড়াও স্থাপনা ও পারফরমেন্স শিল্প এই প্রদর্শনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ অংশে সর্বমোট ২৯টি শিল্পকর্ম রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান ও শহরে স্থাপিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোকচিত্রী মোজ্জামেল হক টিটুর স্মারক ভাস্কর্যের মধ্যে বাছাইকরা উল্লেখযোগ্য ৫০টি আলোকচিত্র প্রদর্শিত হবে। এছাড়া এ প্রদর্শনীতে এ দেশের বিশিষ্ট ভাস্কর হামিদুজ্জামান খানের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছয়টি ভাস্কর্য ও উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ভাস্কর্যের আলোকচিত্র প্রদর্শিত হবে।
প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত তিনটি শিল্পকর্মকে পুরষ্কৃত করা হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে উৎসারিত ভাস্কর্য চর্চায় অবদানের জন্য হামিদুজ্জামান খানকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হবে বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, প্রদর্শনীটি চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারি ও উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে প্রদর্শিত হবে। আগামী ১৮ মার্চ বিকেল তিনটায় চারুকলা অনুষদের ওসমান জামাল মিলনায়তনে প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। প্রদর্শনী উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ও সুবর্ণজয়ন্তী সেলের প্রধান সমন্বয়ক রঞ্জিত কুমার দাস।
অন্যদিকে, ২৪ মার্চ বিকেল সাড়ে তিনটায় উপাচার্য আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক। এতে মন্ত্রী এবং উপাচার্য পুরস্কার ও সম্মাননা দেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চারুকলা অনুষদের ডিন এবং ভাস্কর্য প্রদর্শনী বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক নিসার হোসেন, ভাস্কর্য বিভাগের অনারারি অধ্যাপক মো. হামিদুজ্জামান খান, অধ্যাপক লালা রুখ সেলিম, সহকারী অধ্যাপক নাসিমুল খবির প্রমুখ।
Discussion about this post