এস এম রকি
প্রবেশদ্বার ঘন সবুজে ভরা। আঙিনায় ঢোকামাত্র মনে হবে পরিপাটি করে সাজানো কোনো সবুজের রাজ্যে এসে পড়েছি। প্রবেশদ্বারের বিপরীত পাশে আঙিনার ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে সবুজ এক শহীদ মিনার, যার পাদদেশে হলুদ গাঁদা ফুলে একুশ আঁকা। আঙিনার যেদিকে চোখ যাবে শুধু সবুজ আর সবুজ। কোথাও গাছ জাতীয় ফুল শাপলার আকৃতি নিয়েছে, কোথাওবা বসার বেঞ্চের আকৃতি নিয়েছে। দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার সাবেক গুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আঙিনার চিত্র এটি। নান্দনিক এই বাগান তৈরি করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আবদুল কুদ্দুস।
খানসামা উপজেলার ভাবকী ইউনিয়নে গেলে বিদ্যালয়টির দেখা মিলবে। বিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারটি তৈরি করা হয়েছে কাটা মেহেদিগাছ দিয়ে। বাগানে রয়েছে গাছ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন স্থাপনা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো শহীদ মিনার, জাতীয় পতাকা, হেলিকপ্টার, বসার স্থান, শাপলা ফুল, ঘরের ছাউনি প্রভৃতি। এই বাগান যেমন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মন সতেজ করছে, একইভাবে দর্শনার্থীদেরও টানছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, বিদ্যালয়ে আগে থেকেই বাগান ছিল। তবে ২০১৭ সালে প্রধান শিক্ষক আবদুল কুদ্দুস নিজ অর্থায়নে বিদ্যালয় ভবনের পাশে নান্দনিক বাগানটি গড়ে তোলেন। এরপর স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাগানের পরিসর ক্রমেই বেড়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্যালয়ের এই নান্দনিক বাগানের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকের প্রশংসায় ভাসছেন শিক্ষক আবদুল কুদ্দুস।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বাগানের প্রতি আগ্রহ আমার। সেই আগ্রহ থেকেই স্কুল চত্বরে বাগান তৈরি করেছি।’
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম এ মান্নান বলেন, সাবেক গুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাগানের দৃশ্য ও ডিজাইন সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম, যা প্রশংসনীয়।
Discussion about this post