শিক্ষার আলো ডেস্ক
স্নাতক প্রথম বর্ষে সব বিভাগ মিলিয়ে দুই শতাধিক আসন খালি রেখেই ভর্তি কার্যক্রম সমাপ্তি ঘোষণা করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তাই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে বিভিন্ন বিভাগে দুই শতাধিক শূণ্য আসনে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তি না করানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২০ মার্চ) ২ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
দাবিসমূহ হলোঃ (১) পুনরায় ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে শূণ্য আসনগুলো অতি শীঘ্রই পূরণ করা হোক, (২) পুনরায় মাইগ্রেশন চালু করা হোক।
উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমরা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের সাধারণ শিক্ষার্থী। ভর্তি কার্যক্রমে ২০০-এর অধিক আসন শূণ্য থাকা সত্ত্বেও ভর্তি কার্যক্রম এবং মাইগ্রেশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে নতুন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
‘‘সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারছে না। ফলক্রমে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা হতাশায় ভুগছে। তাই পুনরায় ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে শূণ্য আসন পূরণ করা এবং মাইগ্রেশন চালু করার জন্য অনুরোধ করা হলো।’’
এ বিষয়ে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর জানিয়েছেন, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একাডেমিক ক্যালেন্ডারের রুটিন অনুযায়ী ২০ মার্চের মধ্যে সকল বিভাগের মিডটার্ম পরীক্ষা শুরু হবে। এজন্য নতুন করে ভর্তি কার্যক্রম সম্ভব না।
তিনি আরও বলেছেন, একাডেমিক ক্যালেন্ডারের রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা না নিলে ৪ বছরের কোর্স ৫/৬ বছর লাগবে। এতে করে শিক্ষার্থীদের সেশনজটে পড়তে হবে। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেই সঠিক সময়ে একাডেমিক রুটিন অনুযায়ী সকল কাজ শেষ করা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবির বলেন, উপাচার্য মহোদয়ের বক্তব্যের সাথে আমিও সহমত। কারণ ৭ ফেব্রুয়ারি ক্লাস শুরুর পর প্রায় দেড় মাস চলে গিয়েছে। অনেক বিভাগ তাদের মিডটার্ম পরীক্ষার রুটিন দিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া সামনে আরেকটা সেশনের ভর্তির সময়ও চলে এসেছে। এমতাবস্থায় ভর্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখলে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ছয়টি অনুষদে সর্বমোট এক হাজার নব্বইটি আসনের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল প্রশাসন। দুইবার মেধাতালিকা প্রকাশ ও কোটায় ভর্তির পরও প্রায় দুই শতাধিক আসন শূণ্য আছে বলে জানা গেছে।
Discussion about this post