নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি এলামনাই এসোসিয়েশনের পুনর্মিলণী অনুষ্ঠান গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে সকাল ৯:৩০ টায় চবি সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন উড়িয়ে পুনর্মিলণীর উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। অতঃপর চবি সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চবি মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। চবি বিএনসিসি এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ শওকতুল মেহের এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্ণফুলী রেজিমেন্টের রেজিমেন্ট কমান্ডার লে. কর্ণেল রাশেদ মোহাম্মদ আনিছুল হক। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনসিসি’র সমন্বয় কর্মকর্তা প্রফেসর ড. বায়েজীদ মাহমুদ খান এবং সাবেক ক্যাডেট আন্ডার অফিসার, বিএনসিসি, চবি জনাব এ টি এম নুরুল আলম।
মাননীয় উপাচার্য চবি বিএনসিসি এলামনাই এসোসিয়েশনের সদস্যবৃন্দসহ উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, অপসংস্কৃতির অন্ধকার থেকে মুক্ত থেকে সুস্থ সুশৃংখল জীবন গঠনের মধ্যে দিয়ে বিএনসিসি ক্যাডেটবৃন্দ দেশ সেবায় নিয়োজিত আছেন। তাদের এ কার্যক্রম অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং গৌরবের। মাননীয় উপাচার্য আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদিসহ বিভিন্ন আয়োজনে বিএনসিসি ক্যাডেটবৃন্দ শৃংখলা রক্ষায় যে ভূমিকা পালন করে থাকেন তা অনস্বীকার্য। বিএনসিসি এলামনাই এসোসিয়েশনের এ পুনর্মিলনী তাঁদের মাঝে পারস্পরিক সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির মেলবন্ধন আরও দৃঢ় হবে মর্মে মাননীয় উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে একটি চৌকষ ক্যাডেট দল মাননীয় উপাচার্যকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। অনুষ্ঠানে মাননীয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং অতিথিবৃন্দকে বিএনসিসি’র পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ করে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সূচিত হয়। বিএনসিসি’র মহিলা প্লাটুন সাবেক সিএসএম জনাব ফারহানা বেগম ও সাবেক সিইউও জনাব মোঃ এমদাদ হোসেনের সঞ্চালনায়্ এতে সাবেক এবং বর্তমান ক্যাডেটবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ করা হয়। পুনর্মিলণী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
Discussion about this post