নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ‘ওয়্যারলেস টু ক্যাশলেস : এ জার্নি অব এ মার্কেটার’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের অংশ হিসেবে ভবিষ্যতে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ গড়ে উঠবে বলে অভিমত দিয়েছেন বক্তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রিন বিজনেস স্কুল আয়োজিত এ সেমিনার বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
বিভাগীয় চেয়ারম্যান মাহমুদ ওয়াহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারেক আজিজ। এ সময় ইউসিবি ফিনটেক কোম্পানি লিমিটেডের (উপায়) এমডি ও সিইও রেজাউল হোসেন মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. রাজ্জাক বলেন, ক্যাশলেস সোসাইটি প্রতিষ্ঠায় গোটা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও অনেকটা এগিয়ে গেছে। এখন দেশের নাগরিকদের বড় একটি অংশ মুদি দোকানেও ক্যাশলেস পদ্ধতি অনুসরণ করছে। শুধু তাই নয়, করোনাকালীন সময়ে কোরবানির পশু থেকে শুরু করে অনেক ধরনের লেনদেন কাগজের টাকায় হয়নি। এটি নিঃসন্দেহে আমাদের বড় পাওয়া। এ সময় ক্যাশলেস লেনদের ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন সেক্টরের উদাহরণ টানেন তিনি।
অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারেক আজিজ বলেন, ক্যাশলেস পদ্ধতির সুবিধা অনেক। এর মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান যেমন উন্নত হয়, তেমনি এর সিকিউরিটিও বেশি।
তিনি বলেন, ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গোটা বিশ্বে ১৪’শ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ লেনদেন অনলাইনের মাধ্যমে হয়েছে। বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই এই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে, আগামীতেও আরও পড়বে।
অনুষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেনে বাংলাদেশের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা তুলে ধরেন মূল বক্তা মো. রেজাউল হোসেন। তিনি বলেন, এক সময় ক্যাশলেস লেনদেন নিয়ে মানুষ দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকতেন, এখন সেটি নেই। আগামীতে এই পদ্ধতি আরও উন্নত হবে।
Discussion about this post