শিক্ষার আলো ডেস্ক
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থী অন্তু রায়ের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি বাড়ি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। শনিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে খুলনার ডুমুরিয়ার ইউএনও মো. আবদুল ওয়াদুদ পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে এই প্রতিশ্রুতি দেন।
দুপুরে ইউএনও উপজেলার গুটুদিয়া পশ্চিমপাড়া পূজা মণ্ডপের পেছনে অবস্থিত অন্তুর বাড়িতে যান। সেখানে তাদের ঝুপড়ি ঘর ও তার বাবা-মায়ের অবস্থা দেখে তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি ঘর তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন, ‘একটি সম্ভাবনার মৃত্যু ও তার পরিবারের দুরবস্থা স্বচক্ষে দেখে তাদেরকে সহমর্মিতা জানাতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দ্রুত একটি ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে।’
সূত্রে জানা গেছে, দারিদ্র্যের জ্বালা সইতে না পেরে গত ৪ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টায় ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের দিনমজুর দেবব্রত রায়ের ছেলে অন্তু রায় (২১) জীর্ণ বসতঘরের আড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ২০১৮ সালে কুয়েটে ভর্তির পর থেকেই অভাবের মধ্যেই দিন পার করছেন এই শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ রশীদ হলে থাকা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষে পড়ুয়া অন্তু কয়েক হাজার টাকা বকেয়া পড়েছিল। তাছাড়া সেন্ট্রাল ভাইভা দিতে না পারায় চরম হতাশায় ছিলেন।
এই বিষয়ে কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে কুয়েটে ভর্তির পর থেকে থাকা-খাওয়ার জন্য রশীদ হলে ১৮ হাজারের বেশি টাকা বকেয়া হওয়ায় নন-বর্ডার (হল থেকে নাম কাটা যায়) হয়ে যায়। তাছাড়া সে সেন্ট্রাল ভাইভাও দিতে পারেনি। তবে বকেয়া নিয়ে তার ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়নি। এমনকি বকেয়ার সঙ্গে সেন্ট্রাল ভাইভার কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন তিনি।
Discussion about this post