শিক্ষার আলো ডেস্ক
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট প্রকট। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাড়ে ৯ হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করলেও আবাসিক হলে মোট আসন রয়েছে ৯৩৭টি। ফলে শিক্ষার্থীদের একাংশকে গাদাগাদি করে হলরুমে এবং সিংহভাগ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী এলাকার মেসগুলোতে থাকতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবদুল জলিল (২০০৯-২০১৩) এর মেয়াদের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে দৃশ্যমান তেমন কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা হয়নি। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প ‘শেখ হাসিনা হল’ ও ‘ড.ওয়াজেদ রিসার্স ইনিস্টিটিউট’ এর নির্মাণ কাজও দুর্নীতির অভিযোগে বন্ধ রয়েছে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী সাড়ে ৯ হাজার। কিন্তু তিনটি আবাসিক হলে আসন সংখ্যা মাত্র ৯৩৭টি। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে সর্বাধিক আসন ৩৫৫টি ও শহীদ মুখতার ইলাহী হলে ২৪০টি। আর মেয়েদের জন্য একমাত্র শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলে মাত্র ৩৪২টি আসন রয়েছে। যা মোট শিক্ষার্থীর তুলনায় নগণ্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসতুরা মাইমুন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর ইচ্ছা ছিল আবাসিক হলে থাকব। কিন্তু একাধিকবার আবেদন করার পরও সিট পাইনি। মেসে থেকেই স্নাতক সম্পন্ন করতে হয়েছে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নুরুজ্জামান বলেন, হলে কীভাবে উঠব? যে কয়টি সিট রয়েছে তার থেকে বেশি শিক্ষার্থী থাকে হলে। তাছাড়া ছাত্র রাজনীতি না করলে সিট সহজে পাওয়া যায় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে শিক্ষার্থীরা থাকবে, পড়াশুনা করবে এটি বিশ্ববিদ্যালয় থিমের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু বাংলাদেশের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে সে ব্যবস্থা নেই। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য যে আবাসন সংখ্যা আছে তা খুবই নগণ্য। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আরও আবাসিক হল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী কমলেশ চন্দ্র সরকার জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা নির্মাণের দ্বিতীয় ফেজের কাজে আবাসিক হলসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও রয়েছে। এসব কাজ সম্পন্ন হলে আবাসন সংকট কমে আসবে। সৌজন্যে-ঢাকাপোষ্ট
Discussion about this post