নিজস্ব প্রতিবেদক
ভর্তির বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতন করতে জনস্বার্থে ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা- বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এবং দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লার বিরুদ্ধে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। রবিবার (১৭ এপ্রিল) সই করা গণবিজ্ঞপ্তিটি সোমবার (১৮ এপ্রিল) প্রকাশ করা হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনস্বার্থে এবং অভিভাবক ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জ্ঞাতার্থে ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা-বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এবং দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা’র বর্তমান অবস্থা তুলে ধরা হলো।
ইবাইস ইউনিভার্সিটি
বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনও ক্যাম্পাস ও ঠিকানা নেই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব ও আদালতে একাধিক মামলা বিদ্যমান। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার পদে কোনও ব্যক্তি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে কোনও পদেই আইনানুযায়ী বৈধভাবে কেউ নিয়োজিত নেই। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে বৈধ কোনও কর্তৃপক্ষ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টির সব কারিকুলাম মেয়াদোত্তীর্ণ বিধায় সব অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রামের বৈধতা হারিয়েছে। ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ১৭ এবং ১৯ ধারা অনুযায়ী, বৈধ সিন্ডিকেট এবং অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির অ্যাকাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং অ্যাকাডেমিক সনদের আইনগত কোনও বৈধতা নেই।
আমেরিকা-বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি
এই ইউনিভার্সির উল্লিখিত ঠিকানায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ফ্লোর স্পেস, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার মতো কোনরূপ সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার পদে কোনও ব্যক্তি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে কোনও পদেই আইনানুযায়ী বৈধভাবে কেউ নিয়োজিত নেই। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে বৈধ কোনও কর্তৃপক্ষ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টির সব কারিকুলাম মেয়াদোত্তীর্ণ বিধায় সব অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রাম বৈধতা হারিয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ১৭ এবং ১৯ অনুযায়ী, বৈধ সিন্ডিকেট এবং অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির অ্যাকাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং অ্যাকাডেমিক সনদের আইনগত কোনও বৈধতা নেই।
দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা
ইউনিভার্সি অব কুমিল্লার কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। উল্লিখিত ভবনে অবস্থানরত ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে, ভবনের পঞ্চম তলায় দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা’র কার্যক্রম পরিচালিত হতো। দুই মাস আগে ভবনের কর্তৃপক্ষ (বাংলাদেশ পুলিশ কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড) দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা-এর লোকজন এবং মালামাল বের করে দিয়ে পঞ্চম তলায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে এবং সব ধরনের ইউটিলিটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। সেই মোতাবেক পঞ্চম তলায় গিয়ে দেখা যায়, ফ্লোরের প্রবেশ কক্ষে তালা ঝুলানো রয়েছে এবং সেখানে লেখা রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড, পলওয়েল কারনেশন শপিং সেন্টার।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বর্তমান বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্যদের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ কমিশনে পাওয়া গেছে। কমিশন থেকে অদ্যাবধি দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লার শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ডিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার পদে কোনও ব্যক্তি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে কোনও পদেই আইনানুযায়ী বৈধভাবে কেউ নিয়োজিত নেই। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে বৈধ কোনও কর্তৃপক্ষ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টির সব কারিকুলাম মেয়াদোত্তীর্ণ বিধায় সব অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রাম বৈধতা হারিয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ১৭ এবং ১৯ ধারা অনুযায়ী, বৈধ সিন্ডিকেট এবং অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির অ্যাকাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং অ্যাকাডেমিক সনদের আইনগত কোনও বৈধতা নেই।
Discussion about this post