শিক্ষার আলো ডেস্ক
‘যৌতুককে না বলুন, বাল্যবিবাহকে না বলুন’ এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে শেরপুরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যৌতুক ও বাল্যবিয়ে বিরোধী এক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ অডিটোরিয়ামে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় যৌতুক ও বাল্যবিয়েকে না বলে শপথ গ্রহণ করে উপস্থিত ৫শ শিক্ষার্থী।
সভার যৌথ আয়োজক ছিল জেলা যৌতুক ও বাল্যবিয়ে বিরোধী ফোরাম এবং বীর প্রতীক কর্নেল (অব.) মো. দিদারুল আলম ফাউন্ডেশন।
রক্তসৈনিক বাংলাদেশের সভাপতি রাজিয়া সামাদ ডালিয়ার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন- আয়োজক সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর প্রতীক কর্নেল মো. দিদারুল আলম।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- শেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. শরিফুর রহমান, শেরপুর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আঁধার ও জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান নাছরিন বেগম ফাতেমা।
যৌতুক ও বাল্যবিয়ে বিরোধী ফোরামের জেলা সমন্বয়ক মো. আল আমিন রাজুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাগরিকা তালুকদার, নারী উদ্যোক্তা তাহমিনা জলি প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী জিনিয়া আক্তার জানান, আমরা কখনই যৌতুক ও বাল্যবিয়েকে সমর্থন করি না। আমরা পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করতে চাই। তাই এর আগে বিয়ে নয়।
শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর দেবতোষ কুমার নিয়োগী বলেন, যৌতুক একটি মারাত্মক সামাজিক ব্যাধি। বর্তমান সময়ে এটি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। করোনাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়ে গেছে, যেটা মোটেও কাম্য ছিল না।
বাল্যবিয়ের ফলে মা ও শিশু দুজনেই ঝুঁকিতে থাকেন। তাই আমি বিশ্বাস করি আজকে যে পাঁচশ শিক্ষার্থী শপথ গ্রহণ করল, তাদের মতো অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও যৌতুক ও বাল্যবিয়েকে না বলবে।
Discussion about this post