নিজস্ব প্রতিবেদক
দাপ্তরিক কাজে এখনো কাগজের ব্যবহার অহরহ রয়েছে। দেখা যায় একটি মাত্র কাগজ হস্তান্তর, গ্রহণ ইত্যাদি কাজে দীর্ঘক্ষণ সময় লেগে যায়। এ নিয়ে হয়রানিও হতে হয় সেবাগ্রহীতাকে। ডিজিটাল যুগে এসেও এই কাগজের ওপর নির্ভরশীল হয়ে দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা করা কতটুকু সঠিক, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে নাগরিক সেবাকে আরও গতিশীল করতে দাপ্তরিক ই-নথির ব্যবহার বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
আজ মঙ্গলবার ইউজিসিতে দুই দিনব্যাপী ‘ই-নথি’বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউজিসির সংশ্লিষ্টরা এ আহ্বান জানান। কমিশনের ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ইউজিসি সদস্য ও ইনোভেশন টিমের আহ্বায়ক অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন ও পেপারলেস অফিস করার ক্ষেত্রে ই-নথি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি দাপ্তরিক কাজে গতি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়াতে ইউজিসি ও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ই-নথি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, নাগরিকসেবা আরও গতিশীল করতে ই-নথির ব্যবহার বাড়াতে হবে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেবাপ্রত্যাশীদের ভোগান্তি কমাতে সেবা সহজীকরণ, গুণগত সেবা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
দুই দিনের এই প্রশিক্ষণে ভার্চুয়াল অফিস ম্যানেজমেন্ট, প্রোফাইল ব্যবস্থাপনা, ডাক আপলোড প্রক্রিয়া, ডাক ব্যবস্থাপনা, ডাক নথিতে উপস্থাপন পদ্ধতি, নথি ও পত্র জারি, নথি ব্যবস্থাপনা এবং নথি মোবাইল অ্যাপের ব্যবহার ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হবে।
ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণে কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
Discussion about this post