নিজস্ব প্রতিবেদক
চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষার প্রস্তাবিত সময়সূচি চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। আগামী ১৯ জুন থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। এদিন কুরান মাজিদ ও তাজভিদ বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (মাদ্রাসা-২) এ কে এম লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রোক্ত পত্রের প্রেক্ষিতে জানানাে যাচ্ছে যে, ২০২২ সালের দাখিল পরীক্ষার সময়সূচির প্রস্তাব সরকার কর্তৃক অনুমােদিত হয়েছে। ২০২২ সালের দাখিল পরীক্ষার অনুমােদিত সময়সূচি পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এ সাথে প্রেরণ করা হলো।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ও বিকাল ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১৯ জুন কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ বিষয়ের পরীক্ষা হবে। ২০ জুন হাদিস শরিফ, ২২ জুন গণিত, গণিত, ২৩ জুন বাংলা প্রথমপত্র, ২৫ জুন বাংলা দ্বিতীয়পত্র, ২৬ আকাইদ ও ফিকহ, ২৮ জুন ইংরেজি প্রথম পত্র, ৩০ জুন ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র, ২ জুলাই ইসলামের ইতিহাস ও পদার্থ বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), ৩ জুলাই পৌরনীতি ও নাগরিকতা, কৃষিশিক্ষা (তত্ত্বীয়), গার্হস্থ্য বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), মানতিক, উর্দু, ফার্সি এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, রসায়ন (তত্ত্বীয়), তজভিদ নসর ও নযম (মুজাব্বিদ গ্রুপ), তাজভিদ (হিফজুল কুরআন), ৫ জুলাই উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়) এবং ৬ জুলাই জীববিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর ৩০ (ত্রিশ) মিনিট পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষা কক্ষে অসন গ্রহণ করতে হবে । প্রশ্নপত্রে উল্পিশিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। সকল বিষয়ের পরীক্ষার সময় হবে ০২ (দুই) ঘন্টা। সুজনশীল বিষয়ের ক্ষেত্রে এমসিকিউ এর জন্য ২০ মিনিট, সিকিউ এর জন্য ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোন বিরতি থাকবেন।
পরীক্ষার্থীদেরকে তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট হতে পরীক্ষা আরম্ভের কমপক্ষে তিনদিন পূর্বে সংগ্রহ করতে হবে। শারীর্ষিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা (১৪২) এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা (১৪৫) বিষয় দুটি এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরববাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সাথে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বাের্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে প্রেরণ করবে। পরীক্ষার্থীগণ তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা স্ব-স্ব কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার ফল প্রকাশের ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএস এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
Discussion about this post