নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপন শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
কবি নজরুল ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে র্যালী করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বেলা সাড়ে ১০টায় গাহি সাম্যের গান মঞ্চে কেক কাটার পরপর শুরু হয় আলোচনা সভা। এ ছাড়া সভাস্থলে পায়রা এবং বেলুন ওড়ানো হয়।
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহমেদুল বারীর সভাপতিত্বে ও হীরক মুশফিকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ১৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নের পথে নিরন্তর স্বপ্নযাত্রার যে স্বপ্ন সেটি বাস্তবায়নে কাজ করে যাবো। বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাবে।
অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর আরও বলেন, বেকার না থাকতে চাইলে সার্টিফিকেটের পাশাপাশি দক্ষতা অর্জনে গুরুত্ব দিতে হবে । সারা পৃথিবী যেখানে দক্ষতা অর্জনের জন্য শ্রম, সময়, অর্থ ব্যয় করে চলেছে সেখানে আমরা দক্ষতা ছাড়া আর সবকিছুর দিকে লক্ষ্য রেখেছি। দক্ষতা শব্দটিকে খুব অবহেলা করে চলেছি। তাই আমাদের লক্ষ্য হবে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করার পর যেন কোন শিক্ষার্থী বেকার না থাকে সেটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার চিন্তা করছে বিশ্ববিদ্যালয় শুধু সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য নয় বরং পরিপূর্ণভাবে উচ্চ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারবে। দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সরকারের সেই অভিযাত্রায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সহমত পোষণ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার অধ্যাপক জালাল উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. শেখ সুজন আলী, প্রক্টর অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মো. জোবায়ের হোসেন।
এ ছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর।
দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে আগামী ১১ মে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এসময় তিনি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত থাকবেন ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) এর সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা মো. রুহুল আমীন মাদানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. কাউসার আহাম্মদ।
Discussion about this post