নিজস্ব প্রতিবেদক
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বিলুপ্ত হচ্ছে। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) আদলে বেসরকারি শিক্ষকদের নিয়োগ দিতে নতুন কমিশন গঠন করা হবে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি খসড়া আইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এনটিআরসিএ বিলুপ্ত করে বেসরকারি শিক্ষক নির্বাচন কমিশন (এনটিএসসি) গড়ে তোলা হবে। পিএসসির আদলে এটি গড়ে তোলা হবে। বর্তমান কাঠামোর আদলেই জনপ্রশাসনের একজন অতিরিক্ত সচিবকে চেয়ারম্যান ও পাঁচজন যুগ্ম সচিবকে সদস্য করে এনটিএসসি গঠিত হবে। এ কমিশন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগের জন্য যোগ্য প্রার্থী বাছাই করে তাদের চাকরির সুপারিশ করবে। সে ক্ষেত্রে আর শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা আয়োজন করা হবে না। সারাদেশ থেকে শূন্য আসনের তালিকা সংগ্রহ করে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করবে এনটিএসসি। পিএসসি’র আদলে যোগ্য প্রার্থীদের শূন্য আসনে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবে তারা।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান বলেন, আমরা এনটিআরসিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছি। এজন্য বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আমরা সবকিছুই পিএসসির আদলে করি। তবুও অনেক শিক্ষক যোগদান করতে পারেন না। আবার প্রতিষ্ঠানগুলোর ভুল চিাহিদার কারণে অনেকের এমপিও হচ্ছে না। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি খসড়া পাঠিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু নতুন এমিপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্থের একটি বড় অংশ রাজস্ব খাত থেকে দেওয়া হয়। সেজন্য এই প্রক্রিয়া সহজ করা দরকার। এজন্য আমরা বর্তমান আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছি। এনটিআরসিএর কর্মকর্তাদের এনটিএসসি’র জন্য নতুন আইন তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে এটি পাওয়ার কথা রয়েছে। আইনের খসড়া চূড়ান্ত হওয়ার পর এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
এনটিআরসিএ বিলুপ্ত করে এনটিএসসি গঠন করা প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি বিদ্যালয়) ফৌজিয়া জাফরীন শনিবার (২১ মে) বলেন, এনটিএসসি গঠন করতে একটি খসড়া আইন তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খসড়া আইন পাওয়ার পর পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করা হবে।এনটিআরসিএ’র খসড়া আইন পাওয়ার পর আমরা এটি পর্যালোচনা করব। এরপর এটি শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের কাছে পাঠানো হবে। শিক্ষামন্ত্রীর অনুমোদনের পর এটি চূড়ান্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে ২০০৫ সালে এনটিআরসিএ গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পর ২০১৫ সাল থেকে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করার ক্ষমতা পায় প্রতিষ্ঠানটি।
Discussion about this post