শিক্ষার আলো ডেস্ক
নানা আয়োজনে ও উৎসবমুখর পরিবেশে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি)।
রোববার (২২ মে) ফুল দিয়ে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।
নবীন বরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান। সঞ্চালনা করেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মীর হুমায়ূন কবীর এবং ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রওশন ইয়াজদানী।
এবার বিশ্ববিদ্যালয়টির পাঁচটি অনুষদের অধীনে ২১টি বিভাগে ১৩তম ব্যাচে ৯৫৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জ্ঞানার্জন, আহরণ এবং নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে। প্রযুক্তিকে গ্রহণ করে ভালো কাজে লাগাতে হবে। প্রতিদিন একটু একটু করে ভালো কাজ করতে হবে। সেই জমানো কাজই জীবনের ব্যাংকে এক সময় বড় আকারে ধারণ করবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়, বিভাগ ও বন্ধুদের ভালোবাসতে হবে। আমাদের যা আছে তাই নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। নিজের মধ্যে লালন করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়কে। শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ড. হাফিজা খাতুন বলেন, আলো ছাড়া কেউ চলতে পারে না। তাই নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য তোমাদের আলোকিত হতে হবে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসের বিবর্তনে মানুষের প্রয়োজনে জ্ঞান চর্চার উদ্ভব হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল দায়িত্ব হলো স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র বিকাশে কাজ করা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পাবিপ্রবির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল আলম, প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুল্লাহ্, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) বিজন কুমার ব্রহ্ম, প্রক্টর ড. মো. হাসিবুর রহমান এবং ছাত্র উপদেষ্টা ড. সমীরণ কুমার সাহা।
সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে দিনভর চলে এই আয়োজন। সপ্তমবারের মতো কেন্দ্রীয়ভাবে নবীন বরণ আয়োজন করা হয় ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর প্রাঙ্গণে।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৮ সালের ৫ জুন প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
Discussion about this post