নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপগ্রুপ ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) দুই নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দু্র্জয় ও মোহাম্মদ রাশেদকে মারধরের প্রতিবাদে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় অবরোধ করেছে ছাত্রলীগ। এতে অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাস।
গতকাল মঙ্গলবার (৩১ মে) রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট এলাকার দিকে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই ছাএলীগের নেতাকর্মীরা অবরোধে নামেন।
পুরো ক্যাম্পাস অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। বুধবার (১ জুন) চবি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের প্রতিবাদে অবস্থান নেয় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে এখনো প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে।
এদিকে এ প্রতিবাদের ঘটনায় ক্যাম্পাসে অনেক শিক্ষার্থী ভুগান্তিতে পড়েছেন। সময় মতো শাটল না আসায় অনেক শিক্ষার্থী যাতায়াত ভুগান্তিতে পড়েছেন। এতে সময় মতো ক্লাসে পৌঁছাতে পারছেন না তারা।
এছাড়াও ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা শিক্ষার্থীদের কোনো বাস। ১ নম্বর গেট থেকে আসা সকল বাস, সিএনজি, রিকশা, মোটরসাইকেলকে জিরো পয়েন্ট এলাকার ৪০০ মিটার আগে থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ক্যাম্পাসের মধ্যেও বিভিন্ন পয়েন্টে এবং রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, ভোর রাতে ছাত্রলীগের এই দুই নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলক্রসিং এলাকায় স্থানীয় ছাত্রলীগের কর্মীরা মারধর করেন। এ ঘটনায় চবি ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ‘ভিএক্স’ ছাত্রলীগ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকেই ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সমাধানে চেষ্টা করছি। তবে ক্লাস হওয়ার বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।
Discussion about this post