শিক্ষার আলো ডেস্ক
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৩ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারি-২ এ স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার। তিনি ২০২০ সালে বেগম রোকেয়া পদকে ভূষিত হন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।
সভায় বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, আমাদের একটি শব্দ ‘মুক্তিযুদ্ধ’ এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জেগে উঠেছিল এবং বাঙালি জাতি একত্রে মিলিত হয়েছিল। হাজারো মা বোনেরা সেদিন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ একটি নিরবচ্ছিন্ন ইতিহাস ও মহাকাব্যিক শব্দ। শব্দটিকে স্মরণ করলে আমরা শক্তি পাই, সাহস পাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের সবার ভিতরে থাকতে হবে। সামনে তাকাতে হলে আমাদের পিছনের ইতিহাসও স্মরণ করতে হবে।
তিনি মাঠের যোদ্ধাদের কথা স্মরণ করে বলেন, তারা কোনো কিছু না ভেবেই দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন এবং জীবন দিয়েছেন।
বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার বলেন, সঠিক তথ্য এবং বিভিন্ন কারণে তাদের অনেককেই পুরোপুরি মূল্যায়ন করা যায়নি। সবাই মিলে আমাদের দেশকে ভালবাসতে হবে। আমাদের নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধকে উপলব্ধি করতে হবে। অন্তরে ধারণ করে, দেশ গড়ার কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
পাবিপ্রবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, বিভক্তি এবং বৈষম্যের কারণেই মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার মাধ্যমে জাতি দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছিল । আমাদের মাঝে এখনও কিছু কিছু বিষয়ে বিভক্তি আছে। এ সকল মতভেদ ভুলে দেশ ও জাতি গঠনে আমাদেরকে কাজ করতে হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন অনুষ্ঠানে সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আজ আমাদের জন্য একটি বিশেষ ও আনন্দের দিন। আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের উপর বেশি বেশি আলোচনা করতে হবে। তাহলে নতুন প্রজন্ম আমাদের বীরত্বগাঁথা সংগ্রামের কথা জানতে পারবে। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তি সংগ্রামের স্মৃতিকে অন্তরে ধারণ করতে হবে। আমাদেরকে জয়ী ও সংগ্রামী মানুষকে অনুসরণ করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সংগ্রামী মানুষের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুল্লাহ।
Discussion about this post