শিক্ষার আলো ডেস্ক
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে আহতদের চিকিৎসায় রক্ত দিয়ে সহায়তা করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন লাগার পর হতাহতদের রক্তের প্রয়োজন পড়ে। বিভিন্ন গ্রুপের রক্ত পাওয়া গেলেও নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের সংকট দেখা দেয়। এমনকি রক্তের জন্য আহতদের অনেক স্বজনকে গ্রুপ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
স্বেচ্ছাসেবীরা রক্তের জন্য হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দিতে থাকেন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকেও স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ বলেন, ‘খবর পেয়ে চবি থেকে প্রায় শতাধিক ছাত্র আসেন। আমরা রক্তদান থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে সহায়তা করছি।’
মানবিক সংগঠন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের উত্তর জেলার প্রচার সম্পাদক আহসান হাবিব চৌধুরী জানান, হতাহতদের রক্তদানের জন্য গাউসিয়া কমিটির অনেক কর্মী এগিয়ে এসেছেন।
চমেকের ব্লাড ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. তানজিনা তাবিব চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আপাতত রক্তের সংকট নেই। যথেষ্ট ডোনার থাকায় সংকট সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীদের ক্ষেত্রে পরে রক্তের প্রয়োজন হতে পারে ‘
অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি চার শতাধিক। তাদের মধ্যে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীও রয়েছেন।
অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে দুই জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী রয়েছেন। একজনের নাম মনিরুজ্জামান (৩২)। আরেকজনের নাম জানা যায়নি। নিহতদের মধ্যে আরও চার জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন—মোমিনুল হক, মহিউদ্দিন, হাবিবুর রহমান ও রবিউল আলম।
Discussion about this post