নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্বের প্রথম সারির প্রকাশনা সংস্থা ‘এলসেভিয়ার’ বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি করার ইচ্ছা পোষণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সহজে ও স্বল্পমূল্যে এলসেভিয়ারের ই-রিসোর্স ব্যবহার করতে পারবে। যা দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানেগুলোতে গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।
এলসেভিয়ারের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রোববার (৫ জুন) ইউজিসির প্রশাসন বিভাগের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গবেষণা সহযোগিতার এ প্রস্তাব দেয় এবং এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরে।
এসময় এলসেভিয়ারের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সিনিয়র কাস্টমার কনসালট্যান্ট ভিশাল গুপ্ত, সিনিয়র সলিউশন সেলস ম্যানেজার অর্ণব কুমার দে এবং অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার ফারাহা সিদ্দিকি উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অধ্যাপক আলমগীর বলেন, বিভিন্ন ভাষায় এলসেভিয়ারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং বিখ্যাত প্রকাশনা রয়েছে। এলসেভিয়ারের পুস্তক ও জার্নাল নিয়ে দেশের গবেষকদের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। ই-রিসোর্স ব্যবহার করা নিয়ে কোনো চুক্তি সম্পাদিত হলে সেটি উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিষয়ক প্রকাশনার ইতিহাসে এ সাইটের অবদান নিঃসন্দেহে অতুলনীয়। দেশের গবেষকরা সহজে এলসেভিয়ার সব ডিজিটাল রিসোর্স ব্যবহার করতে পারার বিষয়টি নিঃসন্দেহে গুরুত্ব বহন করে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব র্যাংকিংয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এগিয়ে নিতে মানসম্পন্ন গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। গুণগত শিক্ষা ও মানসম্পন্ন গবেষণার জন্য এলসেভিয়ারের উন্মুক্ত রিসোর্সগুলো ব্যবহার করে গবেষকরা সমৃদ্ধ হবেন এবং গবেষণা ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।
প্রসঙ্গত, এলসেভিয়ার প্রতিবছর প্রায় ২০০০ এর উপরে জার্নাল প্রকাশ করে। প্রকাশিত জার্নালে নিবন্ধের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি। এর আর্কাইভে ৭০ লাখেরও বেশি প্রকাশনা রয়েছে।
Discussion about this post