নিজস্ব প্রতিবেদক
উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বৈষম্য দূর করা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে শিগগিরই একটি নীতিমালা করবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। উচ্চশিক্ষায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ও পদ্ধতি কী হবে তা বিস্তারিত তুলে ধরা হবে নীতিমালায়।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) কমিশনের স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং অ্যান্ড কোয়ালিটি এস্যুরেন্স (এসপিকিউএ) বিভাগ আয়োজিত দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়ন সংক্রান্ত দিনব্যাপী এক কর্মশালায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন। এসপিকিউএ বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইউজিসির জ্যেষ্ঠ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ-কে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি বাংলাদেশের সংবিধান, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ও প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইনে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের বিষয়াদি পর্যালোচনা করবে।
অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, এই নীতিমালার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা সেবা গ্ৰহণের পথ সুগম হবে। প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি প্রক্রিয়া সহজ করা, তাদের জন্য বিশেষভাবে পরীক্ষার আয়োজন ও অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ দেওয়া, প্রতিবন্ধী সহায়ক অ্যাপস তৈরি ইত্যাদি বিষয় এই নীতিমালায় সংযুক্ত করা হবে।
কর্মশালায় বক্তারা জানান, বাংলাদেশ ১২ ধরনের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদেরকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে উচ্চশিক্ষা গ্ৰহণ করতে হয়। প্রতিবন্ধকতা ও নেতিবাচক মানসিকতার কারণে উপযুক্ত মেধা ও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পলিসি গঠন করা গেলে উচ্চশিক্ষা গ্ৰহণে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর হবে। উপযুক্ত শিক্ষা ও পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে তাদেরকে দক্ষ করে গড়ে তোলা যাবে এবং দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।
কর্মশালায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইটি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম শামিম কায়সার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু, ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post