নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, তিনি তা পূরণ করেও দেখিয়েছেন। পদ্মা সেতু হলো তারই প্রমাণ। এই সেতু আমাদের সক্ষমতার প্রমাণ। বিশ্বব্যাংক যখন আমাদের ছেড়ে গেল তখন আমরা হতাশ হইনি বরং ঘুরে দাঁড়িয়েছি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সক্ষমতা আরও বেড়েছে। তবে দেশকে এগিয়ে নিতে আরও বেশ কিছু দিকে নজর দিতে হবে।
বুধবার (২২ জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘আসন্ন বাজেটে প্রত্যাশা এবং বাস্তবতা’ বিষয়ক শীর্ষক সেমিনারে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক এসব একথা বলেন।
সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, দেশে ক্রমেই ছদ্মবেশী বেকারত্ব বাড়ছে। কর্মসংস্থান বাড়াতে বাড়ানো এখন জরুরি। কর্মসংস্থান বাড়ানো গেলে বেকারত্ব কমবে ও জিডিপির হার বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু এ দিকে আমাদের নজর খুবই কম।
সেমিনারে আসন্ন বাজেট সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, বাজেটে শিক্ষা খাতকে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যার পরিমাণ জিডিপির ১.৮ শতাংশ। গতানুগতিক এ ধারাকে পরিবর্তন করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শিক্ষাখাতে জিডিপির ৪ শতাংশ বরাদ্দ দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু ৫০ বছর পরেও তা সম্ভব হয়নি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজম খানের সভাপতিত্বে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জিল্লুর রহমান এবং উক্ত প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন ঢাবির ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ ও জবি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post