নিজস্ব প্রতিবেদক
পদ্মাসেতু আমাদের জন্য একটি মাইলফলক। রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের যে অভাব ছিল সেটা এখন আর নেই।
পদ্মাসেতুর প্রভাবে উত্তরাঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে আরও সমৃদ্ধ হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার এ উন্নয়ন প্রকল্প এ দেশের মানুষ সারাজীবন মনে রাখবে।
পদ্মা সেতুর আর্থ-সামাজিক প্রভাব বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার এ কথা বলেন।
শুক্রবার (২৪ জুন) বিকেল ৫টায় নগরের চারুকলা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও আইকিউএসির পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবুল হোসাইন। এ সময় কলা অনুষদের ডিন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
ড. শিরীণ আখতার বলেন, পদ্মাসেতু নিজস্ব অর্থায়নে করার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন, সেটা সম্পন্ন করেছেন। এরপরও অনেকে ষড়যন্ত্র করে দুর্নীতির প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে। আমরা অনেক শক্তিশালী এবং আত্মবিশ্বাসী হয়েছি। আমাদের কাছেই এত আনন্দ লাগছে, তাহলে ভাবুন পদ্মাপাড়ের মানুষ কেমন উচ্ছ্বসিত। আমরা তাকিয়ে আছি প্রধানমন্ত্রীর দিকে, তিনি আমাদের ২০৪১ সালের যে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা চাই তিনি সে পর্যন্ত আমাদের নেতৃত্ব দেবেন। শুধু কৃষিতে নয়, বিজ্ঞানেও এ দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিতে হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেটাও ভাবছেন।
অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, আমাদের প্রবন্ধ উপস্থাপক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সঙ্গে পদ্মাসেতুর যোগসূত্র দারুণভাবে উপস্থাপন করেছেন। আমার একটা সময় মনে হতো আমাদের বোধহয় গর্ব করার মতো কিছুই নেই। কিন্তু পদ্মাসেতু নির্মাণের মাধ্যমে আজ আমরা গর্ব করার মতো একটি স্থাপনা পেয়েছি। এটা আমাদের অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করবে। এর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
Discussion about this post