নিজস্ব প্রতিবেদক
”পদ্মা সেতু সব ক্ষেত্রে আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। যেকোনো কাজে চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবেলা করতে হয় সে উদাহরণ পদ্মা সেতু থেকে নেওয়া যায়। পদ্মা সেতু আমাদের সক্ষমতার প্রতীক, মনোবলের প্রতীক। এই সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের মানুষের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন ঘটাবে। বিশ্বে আমরা গর্ব করে পরিচয় দিতে পারব, ‘আমরা বাঙালি, আমরাও পারি’।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদ্মা সেতু নির্মাণে তার দৃঢ় ও দূরদর্শী ভূমিকার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে একথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচন হলো। পদ্মা সেতু বিনিয়োগ বাড়াবে, শিল্পায়ন বাড়াবে, অর্থনীতিকে গতিশীল করবে। ফলে দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপরও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের ওপর দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করা। আমরা সবাই যদি এক হয়ে কাজ করি তাহলে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।
এ সময় উপ-উপাচার্য বলেন আমাদের স্বপ্নের বাস্তব রূপ এখন পদ্মা সেতু। সারা বিশ্ব এখন আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরই উপাচার্য সবাইকে মিষ্টিমুখ করান।
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ঐতিহাসিক উদ্বোধন অনুষ্ঠান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি দেখানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। শনিবার (২৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. হোসনে আরা, ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধানসহ, বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
Discussion about this post