নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বাড়িতে বসেই স্কুলের পাঠলাভের ব্যবস্থা করে প্রশংসিত হয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়।কিন্তু এতে বাড়ীর কাজ থাকলেও মূল্যায়নের প্রক্রিয়া ছিলনা।তাই এবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের মায়েদের মোবাইল ফোনে খুদেবার্তা (এসএমএস) দিয়ে দেওয়া হবে ‘বাড়ির কাজ’। । শিশুদের পড়াশোনায় নিবিষ্ট রাখাই এর মূল উদ্দেশ্য। বিদ্যালয় খোলার পর এই বাড়ির কাজ বিদ্যালয়ে জমা দিতে হবে। শিক্ষকরা তার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করবেন শিশুদের।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ প্রসংগে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, ‘প্রাথমিকের সব শিশুকে তাদের মায়ের মোবাইল ফোন নম্বরে উপবৃত্তির অর্থ পাঠানো হয়।তাই সকলের কাছে মেবাইল ফোন আছে।এই সুবিধেটুকু আমরা কাজে লাগাতে চাই।” ’ এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন জানান, শিক্ষার্থীদের মায়েদের মোবাইল ফোন নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে হোমওয়ার্ক পাঠানোর একটি কর্মপরিকল্পনা প্রক্রিয়াধীন। তিনি বলেন, ‘আশা করি, শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পড়াশোনায় নিযুক্ত করার জন্য ইউনিসেফ, প্ল্যান বাংলাদেশ এবং আইসিটি বিভাগের এটুআই আগামী সপ্তাহে এটি চূড়ান্ত করবে।’ সচিব জানান, মোবাইল ফোনে দেয়া বাড়ির কাজ শিশুদের দিয়ে মায়েরা করিয়ে নেবেন। তা স্কুল খোলার পর জমা দিতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সারাদেশের ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক কোটি ৩৩ লাখ শিক্ষার্থীর মায়েদের যোগাযোগের নম্বর তাদের সংগ্রহে রয়েছে। তারা ওই নম্বরে মাসিক ১০০ টাকা করে উপবৃত্তি পাঠান। পরিস্থিতি সামাল দিতে নানা বিকল্প ভাবনা করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ছুটি ক্রমাগত বাড়াতে হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নানা বিকল্প ভাবনা রয়েছে শিক্ষা খাতে সরকারের দুটি মন্ত্রণালয়ের। তবে এসব ভাবনার কোনোটিই এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পরিণত হয়নি।
Discussion about this post