শিক্ষার আলো ডেস্ক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা রোধে পাঁচ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দিয়েছেন রেলের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা রোধে আন্দোলনকারী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।গতকাল মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজারের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
একই স্মারকলিপিতে অনলাইন-অফলাইনে টিকিট কেনার ক্ষেত্রে যাত্রী হয়রানি বন্ধ, সহজ ডটকমের মাধ্যমে যাত্রী হয়রানির ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া, টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়াসহ ছয় দফা দাবিও ছিল।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী আশিকুর রহমান বলেন, আমরা রেলমন্ত্রী মহোদয় বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের ম্যানেজার মহোদয়ের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে আগের ছয় দফা বাদেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা রোধের পাঁচটি দাবিও দেওয়া হয়। দাবিগুলোর বিষয়ে স্টেশন ম্যানেজার আমাদের বলেছেন- ছয় দফা দাবি বাস্তবায়ন কিংবা দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঢাকা থেকে দেওয়া হবে। শাটলের পাঁচ দফার বিষয়টি চাইলে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম ব্যবস্থা নিতে পারবেন বলে তিনি আমাদের জানিয়েছেন। তিনি স্মারকলিপিটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।
শাটল ট্রেনের ভোগান্তি দূর করতে দেওয়া পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- শাটল ট্রেনের বগি বৃদ্ধি করা এবং অন্ততপক্ষে ১২টি বগির ব্যবস্থা করা; মালবাহী বগির পরিবর্তে যাত্রীবাহী বগি সংযুক্ত করা; উন্নতমানের বগি সংযুক্ত করা, বিশেষ করে ফ্যান ও লাইট যথাযথভাবে চালানোর ব্যবস্থা নেওয়া; ডেমু ট্রেন পুনরায় চালু করা ও অন্যান্য ট্রেনের শিডিউল বাড়িয়ে দেওয়া এবং ট্রেনের গতি বৃদ্ধি করা এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা রোধে ছয় দফা দাবি নিয়ে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।
Discussion about this post