নিজস্ব প্রতিবেদক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক মাস্টারপ্লান চূড়ান্তকরণে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগমের সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূইয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এয়ার কমোডর একেএম এনায়েতুল কবির, বিশ্ববিদ্যালয়টির অ্যাকাডেমিক মাস্টারপ্লান প্রণয়নে সহায়তাকারী অ্যারোনটিক্যাল বিশেষজ্ঞ ড. ক্রিস্টোফার স্টাফোর্ড, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি স্থপতি মো. ইসতিয়াক জহিরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় রেজিস্ট্রার এনায়েতুল কবির বিশেষায়িত এই বিশ্ববিদ্যালয় চালু করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং অন্যান্য উপকরণ বিষয়ে সভার সদস্যদের অবহিত করেন। তিনি বিশেষায়িত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে জনবল নিয়োগের জন্য বিশেষ নিয়োগ নীতিমালা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিদ্যম্যান শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ নীতিমালা দিয়ে চতুর্থ প্রজন্মের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা নিরুপণ করা সম্ভব হবে না। প্রয়োজনে বিদেশ থেকে দক্ষ শিক্ষক, প্রশিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে, উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন জনবলের জন্য বিশেষ বেতন কাঠামোসহ বিশেষ সুযোগ সুবিধার প্রয়োজন হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অ্যাকাডেমিক মাস্টারপ্লান প্রসঙ্গে প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবকাঠামো উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীরা এসব কোর্স ও প্রশিক্ষণ থেকে কর্মক্ষেত্রে কীভাবে উপকৃত হবে সেটির চিত্র তুলে ধরার পরামর্শ দেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ছাত্র ভর্তির পাশাপাশি আগামীতে নিজেদের কোন বিশেষ অবস্থানে দেখতে চায় সেটিও অ্যাকাডেমিক মাস্টারপ্লানে যুক্ত করার অনুরোধ করেন।
দক্ষ বৈমানিক, বিমান প্রকৌশল, বেসরকারি বিমান পরিবহনের ক্ষেত্রে সকল স্তরের দক্ষ জনবল, বিমান তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের সকল স্তর, মহাকাশ সম্পর্কিত উচ্চ শিক্ষা, তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান প্রদানে এই বিশ্ববিদ্যালয় জনশক্তি উৎপাদনে কাজ করে যাবে বলে তিনি আশা করেন।
ইউজিসি সদস্য প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে বৈশ্বিক অ্যাভিয়েশনের একটি গুরুত্বপুর্ণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা। বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সরকারের এই লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। গুণগত শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয় শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুসারে দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান।
দেশে অ্যাভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস বিষয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য প্রতিষ্ঠিত প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস লালমনিরহাটে স্থাপনের জন্য একটি সমীক্ষা প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কারিকুলাম ও অ্যাকাডেমিক মাস্টারপ্লান প্রণয়ন চলমান রয়েছে।
Discussion about this post