নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসা ও কারিগরি (ভোকেশনাল) পর্যায়ের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া টিম গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। ক্লাস রুটিনে ক্রীড়া বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে ক্রীড়া কার্যক্রম পরিচালনায় এই নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সই করা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত আদেশ বুধবার (২০ জুলাই) জারি করে।
আদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় ক্রীড়া কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চিত করতে জেলা শিক্ষা অফিসারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। আদেশে শিক্ষকদের নিজ বিষয়ের সকল দায়িত্ব পালনে বাধ্য করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, প্রতিদিন প্রাত্যহিক সমাবেশসহ রুটিন অনুযায়ী শারীরিক শিক্ষার ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি ইনডোর ও আউটডোর খেলাধুলায় সরাসরি প্রত্যেক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে রুটিন করে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিনের ক্রীড়া বিষয়টি ক্লাস রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আগামী গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ প্রদান করা যাচ্ছে। এজন্য শ্রেণিভিত্তিক অথবা বিদ্যালয়ভিত্তিক ক্রীড়া টিম গঠন করতে হবে। টিম গঠন করার জন্য ওয়েবসাইটে (www.phyedu.org) বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া আছে। আগামী গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়ায় শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত না থাকলে ক্রীড়ায় অংশ নেওয়া যাবে না।
শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে ক্রীড়া বিষয়ে লেখালেখি, ক্রীড়া কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত তথ্য এবং ক্রীড়া বিষয়ে ভিডিও প্রদানের জন্য একটি ‘মাইক্রো ব্লগ সাইট’ ওপেন করা হয়েছে। শারীরিক শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা ব্লগে সহজেই রেজিস্ট্রেশন করে ক্রীড়া বিষয়ে ব্লগ লিখতে পারবেন। ওয়েবসাইটের (www.phyedu.org) উপরের ডান কোনায় ‘ব্লগ’ অপশনে গিয়ে অথবা সরাসরি ওয়েবসাইটে (blog phyedu.org) গিয়ে ব্লগ লিখতে পারবেন।
প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাৎসরিক ক্রীড়া কার্যক্রম পরিচালনা করবেন এবং এ সম্পর্কিত কার্যাবলী ব্লগে প্রকাশ করবেন।
প্রতিটি প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকের সমন্বয়ে ক্রীড়া ফান্ডের জন্য ব্যাংকে প্রধান শিক্ষক এবং শারীরিক শিক্ষকের যৌথ স্বাক্ষরে আলাদা হিসাব খুলতে হবে। ওই অর্থ থেকেই বাৎসরিক ক্রীড়া কার্যক্রম পরিচালনাসহ প্রতিষ্ঠানের ক্রীড়ার উন্নয়নে অর্থ ব্যয় করতে হবে।
এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে কোনও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হলে ওয়েবসাইটের অভিযোগ বাক্স মেনুতে গিয়ে অভিযোগ আকারে পত্র দাখিল করতে হবে। সকল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিষয়টি গুরুত্বসহ মনিটরিং করবেন।
Discussion about this post