নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, কেউ যেন শিক্ষকের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি নষ্ট হবার মতো ন্যক্কারজনক ও নিন্দনীয় কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত না করে। ভবিষ্যতে এরূপ কোনো কাজে কেউ নিজেকে সম্পৃক্ত করলে প্রয়োজনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিতভাবে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলবে। একটি আদর্শনিষ্ঠ সমাজব্যবস্থায় এরূপ অন্যান্য ও রুচিবহির্ভূত কাজ কোনোরূপেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে সিনেট চেয়ারম্যানের অভিভাষণে এসব কথা বলেন উপাচার্য।
নড়াইল, সাভার ও রাজশাহীর তিনটি কলেজে শিক্ষক নির্যাতনের ঘটনা উল্রেখ করে সিনেট চেয়ারম্যানের অভিভাষণে ড. মশিউর রহমান বলেন, এ বিষয়গুলো খুবই দুঃখজনক। আমি অত্যন্ত বেদনা, দুঃখ ও ক্ষোভের সঙ্গে আপনাদের সকলকে সঙ্গে নিয়ে এই অভিব্যক্তিই প্রকাশ করতে চাই- রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক আইন এবং আমাদের সমাজের প্রচলিত আদর্শকে লঙ্ঘন করে কেউ যেন শিক্ষকদের মর্যাদা নষ্ট না করে।
সিনেট অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার বাজেট বক্তৃতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। এই অর্থবছরে ৭৫ লাখ ১৯ হাজার টাকা উদ্বৃত্ত রাজস্ব ও উন্নয়নসহ সর্বমোট ৯৭৬ কোটি ১৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকার বাজেট পেশ করা হয়। এর মধ্যে পৌনঃপুনিক (রাজস্ব) বাজেট ৪৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৮১ হাজার টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য ৪৯০ কোটি ২৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে যা সিনেট কর্তৃক অনুমোদিত হয়। এছাড়া ২০২১-২০২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও সিনেটে অনুমোদিত হয়।
কোভিড-১৯ এর কারণে গত দুই বছর সিনেট অধিবেশন অনলাইন প্লাটফর্ম জুমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারই সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে সিনেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন- সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, সাবেক চিফ হুইপ ও সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও পিএসসির সাবেক সদস্য প্রফেসর ড. শরীফ এনামুল কবির, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য স্থপতি প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মুনাজ আহমেদ নূর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. সাজাহান মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. হারুনর রশীদ খানসহ ২২ জন সিনেট সদস্য। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষসহ ৬০ জন সম্মানিত সিনেট সদস্য অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post