নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে ‘নিরাপদ মাছে ভরব দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের আয়োজনে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে কটকা স্মৃতিস্তম্ভ সংলগ্ন পুকুরে এ মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
তিনি বলেন, মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছে। দেশে এখন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি মাছ উৎপাদন হচ্ছে। যা দেশের আমিষের চাহিদা পূরণের পর বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি আরও বলেন, মাছ উৎপাদন বাড়লেই হবে না; তা যেনো নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে মাছ চাষে ব্যবহৃত ভিটামিন, কেমিক্যাল জনস্বাস্থ্য এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ ও পানি ব্যবস্থাপনার জন্য হুমকি কিনা সে বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে। সেজন্য মাছ উৎপাদনে ব্যবহৃত কেমিক্যাল নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে।
উপাচার্য বলেন, আমাদের দেশে মাছের উৎপাদন বাড়লেও প্রাকৃতিক জলাধার থেকে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হচ্ছে। এখন আমাদের দেশীয় মাছ সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে। মান নিয়ন্ত্রণ করে দেশীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিকরতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অধিক গবেষণা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখন কৃষি নির্ভরতা কাটিয়ে শিল্পোন্নয়নের দিকে নজর দিচ্ছি।
তিনি বলেন, চিংড়ি রপ্তানিতে কিছু ক্ষেত্রে মান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, সাদামাছেও মান নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
এসব বিষয় বিবেচনা করে গবেষণায় অগ্রসর হতে হবে। তিনি গবেষণার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সহায়তার আশ্বাস দেন।
তিনি জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিন ও মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. গোলাম সরোয়ারের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহিন পারভেজ।
এ সময় ডিসিপ্লিনের অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে দুপুর ১২টায় দিবসটি উপলক্ষে ডিসিপ্লিন প্রধানের নেতৃত্বে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে এক র্যালি বের হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের অধিকাংশ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
Discussion about this post