শিক্ষার আলো ডেস্ক
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজন করেন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে দিয়ে ৭ম বর্ষে পদার্পণ করল সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শাহজাদপুরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি।
এদিন সকালে প্রথমে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আনুষ্ঠানিকতার শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহ আলী বলেন, পতাকা উত্তোলন শেষে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের স্মারক সংবলিত বেলুন ওড়ান এবং শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা অবমুক্ত করেন। এরপর তিনি বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কেক কাটেন এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটারে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এ সময় উপাচার্য রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে তার যোগদানের পর শিক্ষার্থীদের স্বার্থে যেসব উদ্যোগ নিয়েছেন তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন এবং বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানান।
তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য শুধু স্নাতক তৈরি নয়, শিক্ষার্থীদের আত্মমর্যাদাবান ও যোগ্য মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা। এ সময় উপাচার্য গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন বাঙালি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে।
তিনি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। তিনি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও রবীন্দ্র ভাবধারায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন এসি কোস্টার বাস ও সম্প্রসারিত লাইব্রেরি সেবার শুভ উদ্বোধন করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৮ মে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪০তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই জাতীয় সংসদে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ হয়। ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে ৩টি বিভাগে মোট ১০৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ৩টি অনুষদে ৫টি বিভাগে স্নাতক কোর্স চলমান আছে।
Discussion about this post