নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীদের বহুল প্রতীক্ষিত শেখ হাসিনা হলের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টায় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন কেক ও ফিতা কেটে এবং পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে হলটির উদ্বোধন করেন।
হল প্রাধ্যক্ষ মোঃ সাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা -কর্মচারী এবং শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
হল প্রভোস্ট সাহেদুর রহমান বলেন, এই হলটি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এক মডেল হলে রুপান্তরিত হবে। আমরা ছাত্রজীবনে যা শিখেছি তা হল লাইফ থেকেই শিখেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হুমায়ুন কবির বলেন, যারা এই হলটির নামকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে মিল রেখেছেন আমি তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার বাস্তব প্রয়োগ হয় হল জীবন থেকে । আমি প্রাধ্যক্ষকে অনুরোধ করব, ভবিষ্যতে হলের কার্যক্রমের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রীর লিখিত এবং সম্পাদিত বই সমূহ উপহারের ব্যাবস্থা করার জন্য।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেন, শেখ হাসিনা হলের উদ্বোধনের দিনটি আমাদের জন্য আনন্দের। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে আমরা অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছি। আমরা ঠিকাদারের সাথে বারবার মিটিং করেছি এবং তাদের কাছ থেকে দলিলে স্বাক্ষর নিয়েছি যাতে ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ হয়। আমি সবসময় এই হলের তদারকি করেছি। পাশাপাশি এই হলটি অন্য সকল হলের কাছে রোল মডেল হবে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের মার্চে হলটি নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হলে প্রকল্পটির কাজ পায় আবদুর রাজ্জাক জেভিসিএ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পটি শেষ করতে তাদের ১৮ মাস সময় বেঁধে দেওয়া হলেও তাদের সময় লেগেছিল ৬৪ মাসেরও বেশি সময়।
Discussion about this post