যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে এখন সাত জেলার রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সাত জেলা হলো— যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর।
গত ১৭ এপ্রিল থেকে যবিপ্রবি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়।
যবিপ্রবি জিনোম সেন্টারের সহকারী পরিচালক প্রফেসর ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, ‘প্রথম দিন শুধু যশোর, পরের তিন আরও দুটি জেলা এবং গতকাল সাত জেলার নমুনা এসেছে সিভিল সার্জনদের মাধ্যমে। এর বাইরেও আরও কয়েকটি জেলা থেকে নমুনা পরীক্ষা করতে দেওয়া হতে পারে। গতকাল জমা হওয়া নমুনাগুলোর মধ্যে রয়েছে— যশোরের ৩৪টি, ঝিনাইদহের ১৫টি, মাগুরার সাতটি, নড়াইলের তিনটি, কুষ্টিয়ার দশটি, চুয়াডাঙ্গার ১৪টি ও মেহেরপুরের ১৬টি।’
গতকাল( ২০ এপ্রিল )বিকালে নমুনাগুলো প্রসেস করে পরীক্ষা শুরু করা হয় বলে জানিয়ে ড. জাহিদ বলেন, ‘আজ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নমুনা পরীক্ষার ফল জমা দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘যশোরের সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিভাগ আমাদের ৪০০টি কিট সরবরাহ করেছে। এ পর্যন্ত ২০৩টি কিট ব্যবহার করা হয়েছে। এখন আমাদের কাছে আছে মাত্র ১৯৭টি কিট। ধারণা করছি, আজকের পর কিটের সংকট দেখা দিতে পারে। সেজন্য আগেভাগেই সিভিল সার্জন অফিসকে কিট সরবরাহ করতে বলেছি।’
‘যবিপ্রবি ল্যাবের এ পরীক্ষা কার্যক্রম যাতে অব্যাহত থাকে, সেজন্য সময়মতো কিট সরবরাহ করতে হবে’ উল্লেখ করে বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি অনুরোধ জানান এই শিক্ষক।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘করোনা রোগী শনাক্তের জন্য পরীক্ষা কিটের চাহিদার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানায়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে জানালে কিটের চাহিদাপত্র আইইডিসিআরেরে কাছে পাঠাবো।’
Discussion about this post