নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগ ‘ক্ষুদে ডাক্তার’ কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ২০ আগস্ট। চলবে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত। দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সমপর্যায়ের মাদ্রাসায় এ কার্যক্রম চালানো হবে।
রোববার (৭ আগস্ট) এ কর্মসূচির নতুন সময়সীমা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
মাউশি পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মো. বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত টেকনিক্যাল কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২০ থেকে ২৬ আগস্ট কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সমপর্যায়ের মাদ্রাসাসহ সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্ষুদে ডাক্তার কর্তৃক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষায় গঠিত ক্ষুদে ডাক্তার দল তাদের জন্য নির্ধারিত শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর ওজন, উচ্চতা, দৃষ্টিশক্তি পরিমাপসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে তা স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফরমে লিপিবদ্ধ করবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ক্ষুদে ডাক্তার দল গঠন এবং তাদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা একটি অভিনব কার্যক্রম, যাতে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত হওয়ার ও দলগতভাবে কাজ করার এমনকি সুশৃঙ্খলভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ রয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে ক্ষুদে ডাক্তারের দল কোনো শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক বৃদ্ধিসহ দৃষ্টি শক্তিতে ত্রুটি কিংবা স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফরমে উল্লেখিত অন্যান্য বিষয়াদির তথ্য শিক্ষকের নজরে আনতে পারবে এবং বিষয়গুলো প্রাথমিক পর্যায়েই সংশোধনের ব্যাপারে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
২০-২৬ আগস্ট ক্ষুদে ডাক্তার কর্তৃক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জেলা শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের সহযোগিতা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত টেকনিক্যাল কমিটির সভায় ‘ক্ষুদে ডাক্তার কর্তৃক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ কার্যক্রমটি ২৭ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চলতি বছর সর্বপ্রথম ‘ক্ষুদে ডাক্তার কর্তৃক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ কার্যক্রম হওয়ার কথা ছিল ২২ থেকে ২৮ জানুয়ারি।
প্রসঙ্গত, এ কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্ষুদে ডাক্তারের দল গঠন করা হবে। প্রাথমিক প্রশিক্ষণের ভিত্তিতে তারা শিক্ষার্থীদের ওজন, উচ্চতা ও দৃষ্টি শক্তি পরীক্ষা করে অস্বাভাবিক শারীরিক বৃদ্ধি, দৃষ্টি শক্তির ত্রুটিসহ নানা বিষয় গাইড শিক্ষকের নজরে আনবে।
Discussion about this post