শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান চাকরি থেকে আগাম অবসরের আবেদন করেছেন। দেনা-পাওনা সমন্বয় সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সভা সিন্ডিকেট তার আগাম অবসরের অনুমতি প্রদান করেছেন।
গত ৩ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে তাকে চিঠি দেওয়া হয়। বুধবার (১০ আগস্ট) গণমাধ্যমের কাছে আসা ওই চিঠির অনুলিপি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তার দেনা-পাওনার একটি হিসাব উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ‘হিসাব পরিচালকের দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী আপনার দেনা-পাওনা: মূল বেতন ৬,০৭,৫৭৪ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৩, ০৩, ৭৮৭ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ১২,৮০০ টাকা, গবেষণা ভাতা ৪২,৬৬৭ টাকা, অফ ক্যাম্পাস ভাড়া ৮,৫৩৩ টাকা, বৈশাখী ভাতা ১৪,২৪০ টাকা, উৎসব ভাতা ১,৪২, ৪০০ টাকা, মোবাইল ভাতা ৯,৬০০ টাকা। মোট ১১ লাখ ৪১, হাজার ৬০১ টাকা (এগার লাখ একচল্লিশ হাজার ছয় শত এক টাকা মাত্র)।আপনার প্রভিডেন্ট ফান্ড-এ সুদসহ জমাকৃত টাকার পরিমাণ ১৬,৫৮,২১৬ টাকা (ষোল লাখ আটান্ন হাজার দুইশত ষোল টাকা)।’
চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট তার দেনা ১১ লাখ ৪১ হাজার ৬০১ টাকা পরিশোধ করার জন্য তাকে অনুরাধ করা হয়। জমা শেষে তার রশিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তরে জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়।
সামিয়া রহমান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। গত মার্চ মাসের শেষদিন তিনি আগাম অবসরের আবেদন করেন। সে আবেদন অনুযায়ী তাকে ১৫ নভেম্বর ২০২১ থেকে দেনা-পাওনা সমন্বয় সাপেক্ষে আগাম অবসরের অনুমতি প্রদান করে সিন্ডিকেট।
এরপর গত ৪ আগস্ট সামিয়া রহমানকে পদাবনতির সিন্ডিকেটের নেওয়া (প্রশাসনিক) সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা ও বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে সব ধরনের বিভাগীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
Discussion about this post