নিজস্ব প্রতিবেদক
গুচ্ছ ভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বছর বাণিজ্য বিভাগের (সি ইউনিট) পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত হয়েছে আগামী ২০ আগস্ট। একই দিন চবির ‘বি’ ইউনিটেরও ভর্তি পরীক্ষা। এখানে আসন সংখ্যা ১২১৫টি।
১৯ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের পরীক্ষা। যেখানে আসন সংখ্যা প্রায় ৪৪১টি। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুই ইউনিটে আবেদনকারী ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের অনেকে আবেদন করেছে গুচ্ছে। যেখানে আসন প্রায় ৩ হাজার ৫৪৭টি। ফলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ও ‘সি’ ইউনিটের ১৯ ও ২০ আগস্টের ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের বেছে নিতে হবে যেকোনো একটি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আয়োজক কমিটির এমন সমন্বয়হীনতায় চরম বিপাকে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা। বঞ্চিত হবেন যেকোনো একটি পরীক্ষা থেকে।
গুচ্ছে নিকটবর্তী এলাকার কেন্দ্রে যারা পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণ করেছেন তারা এখন গুচ্ছ ও চবিতে ‘বি’ ও ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা দিতে চাইলেও গুচ্ছ দিতে পারবে না, আবার গুচ্ছ দিতে চাইলে চবিতে পরীক্ষা দিতে পারবে না। এ সমস্যার মুখোমুখি অনেক শিক্ষার্থী।
তবে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের এমন সমস্যার কথা দুই পক্ষ জানলেও নিজেদের পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করতে নারাজ। নির্ধারিত তারিখেই পরীক্ষা নিতে চায় গুচ্ছ ও চবি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী বলেন, আমরা অনেক আগে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছি এবং অন্যান্যদের সাথে সমন্বয় করে তারিখ নির্ধারণ করেছিলাম। কিন্তু গুচ্ছের আয়োজকরা তাদের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত আমাদের পরে নিয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি সমস্যাটা কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের কিছু করার নেই।
মঙ্গলবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.ইমদাদুল হক বলেন, আমাদের পরীক্ষা ২২টা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে। সারাদেশে আমাদের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে। সব জায়গায় কেন্দ্র নির্ধারণ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা অনেক কষ্টসাধ্য কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চাইলেই তা পারে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থা আছে। তাদের ধারণ সক্ষমতাও বেশি। তাছাড়া আমরা আগে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা দিয়েছি। এই মুহূর্তে চবি কর্তৃপক্ষ চাইলেই পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করতে পারে।
Discussion about this post