নিজস্ব প্রতিবেদক
৪৩তম বিসিএসের পদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা আগামী সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। পরীক্ষা উপলক্ষ্যে প্রার্থীদের আসন বিন্যাস প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনন্দ কুমার বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জরুরি নির্দেশনা ও আসন বিন্যাস প্রকাশ করা হয়েছে।
জরুরি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় আরবি (১৩১) ও ইসলামী শিক্ষা (২০১) বিষয়ের পরীক্ষা শুধু ঢাকা কেন্দ্রে [হলের নাম: ৭১ মিলনায়তন, বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা] অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীর জন্য প্রযোজ্য [কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার] বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা আবশ্যক। লিখিত পরীক্ষায় গড় ন্যূনতম পাস নম্বর হবে ৫০%। লিখিত পরীক্ষায় ৩০% নম্বরের কম পেলে সে নম্বর মোট নম্বরের সাথে যোগ হবে না।
উত্তরপত্রে রেজিস্ট্রেশন নম্বর সঠিকভাবে না লিখলে এবং সঠিকভাবে বৃত্ত পূরণ না করলে, অথবা কোনরূপ কাটাকাটি করলে বা ফ্লুইড লাগালে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞাপনের ২৩.২ নম্বর অনুচ্ছেদের শর্তানুযায়ী প্রার্থিতা বাতিল প্রার্থীর নামে নতুন করে কোন প্রবেশপত্র জারি করা হবে না। প্রিলিমিনারি (MCQ) টেস্টের জন্য প্রাপ্ত প্রবেশপত্র লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় ব্যবহৃত হবে। প্রবেশপত্রে মুদ্রিত নির্দেশনা পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে হবে।
আসন বিন্যাস দেখতে এখানে ক্লিক করুন
পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ প্রবেশ রোধ এবং অসদুপায় ও অসদাচরণ বন্ধে নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে প্রার্থীদের অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক। মোবাইল ফোন, হাতঘড়ি, পকেট ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ঘড়ি, সকল ধরনের ইলেকট্রনিক যোগাযোগযন্ত্র, বই-পুস্তক, ব্যাগ, মানি ব্যাগ, ব্যাংক কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ক্যালকুলেটর [শুধু নন-প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে] ব্যতীত পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষার হলে প্রার্থীরা গহনা-অলংকার জাতীয় কিছু ব্যবহার এবং ক্রেডিট কার্ড/ব্যাংক কার্ড বা এ ধরনের কোন কিছু বহন করতে পারবেন না। পরীক্ষা হলের গেটে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের উপস্থিতিতে কমিশন ঘোষিত নিষিদ্ধ সামগ্রীর প্রবেশ রোধে Metal Detector এর সাহায্যে তল্লাশি করা হবে এবং প্রবেশপত্র চেক করে প্রার্থীদের হলে প্রবেশের অনুমতি দেয়া
হবে।
পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষা কক্ষে কোন প্রার্থীর নিকট বর্ণিত নিষিদ্ধ ঘোষিত সামগ্রী পাওয়া গেলে বিজ্ঞাপনের শর্তানুযায়ী তা বাজেয়াপ্ত করে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। উক্ত প্রার্থীকে হল থেকে বহিষ্কার করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেবল গণিত, ফলিত গণিত, পদার্থবিদ্যা, ফলিত পদার্থ, ইলেকট্রনিক্স, হিসাব বিজ্ঞান, মার্কেটিং, কম্পিউটার সায়েন্স, পরিসংখ্যান ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়সমূহের ক্ষেত্রে non programmable সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে।
পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা মুখ ও কানের ওপর মাস্ক ব্যতীত কোন আবরণ রাখবেন না। পরীক্ষায় যে কোন অসদুপায় অবলম্বনের জন্য প্রার্থীকে হল হতে বহিষ্কার করা হবে। উল্লেখ্য, কোন প্রার্থী পরীক্ষায় নকল করলে বা অন্য কোন অসদুপায় অবলম্বন করলে বা কোন অসদাচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে বিজ্ঞাপনের ৩১.১ ও ৩১.২ নম্বর অনুচ্ছেদের সিদ্ধান্ত এবং পরীক্ষায় অপরাধমূলক আচরণের জন্য শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ নীতিমালা-২০০০ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া, তাকে ভবিষ্যতে কমিশন কর্তৃক গৃহীত কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না এবং কমিশন কর্তৃক বিজ্ঞাপিত অন্য কোন পদের জন্য তিনি আবেদন করতে পারবেন না।
হাজিরা তালিকায় প্রত্যেক প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও নামের পাশে প্রবেশপত্রের অনুরূপ ছবি এবং স্বাক্ষর মুদ্রিত থাকবে। পরীক্ষার শুরুতেই পরিদর্শকবৃন্দ প্রার্থীর প্রবেশপত্রের ছবি ও স্বাক্ষরের সঙ্গে হাজিরা তালিকার ছবি ও স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখবেন; মিল না থাকলে উক্ত প্রার্থীকে বহিষ্কার এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রবেশপত্রে উল্লেখিত রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং নাম সঠিকভাবে উত্তরপত্রের যথাস্থানে প্রার্থী লিখেছেন কিনা এবং প্রার্থীর সাথে প্রবেশপত্র ও হাজিরা তালিকার ছবি ও স্বাক্ষরের মিল রয়েছে কিনা পরীক্ষান্তে তা নিশ্চিত হয়ে পরিদর্শক হাজিরা তালিকায় প্রার্থীর স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন ও হাজিরা তালিকায় পরিদর্শকের জন্য নির্ধারিত স্থানে পরিদর্শক স্বাক্ষর করবেন।
লিখিত পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট পর কোন প্রার্থীকে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। পরীক্ষার দিন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য যে সব প্রার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে তা তাদের সাথে রাখার জন্য পরামর্শ দেয়া হলো। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রার্থীর পূরণকৃত তথ্য এবং ৪৩তম বি.সি.এস. এর বিজ্ঞাপনের ৮.০ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ডিক্লারেশনের ঘোষণার ভিত্তিতে প্রার্থীকে অনলাইন প্রবেশপত্র প্রদান করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের ১১.০ নম্বর অনুচ্ছেদের শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে এবং বিজ্ঞাপনের ৩৪.৪ নম্বর অনুচ্ছেদের শর্তানুযায়ী প্রার্থীর আবেদনপত্রে কোন গুরুতর [Substantive] ত্রুটি ধরা পড়লে পরীক্ষার আগে বা পরে যে কোন পর্যায়ে উক্ত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে।
OMR পূরণ সংক্রান্ত নির্দেশনা
৪৩তম বিসিএস এর লিখিত পরীক্ষা double lithocode এবং barcode সংবলিত উত্তরপত্রে গ্রহণ করা হবে বিধায় প্রচলিত উত্তরপত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় একটি লিথোকোডেড OMR ফরম সংযুক্ত থাকবে। উক্ত OMR ফরমের ওপরে প্রার্থী কর্তৃক পূরণীয় প্রথম অংশটি প্রার্থীকে নিম্নোক্ত নির্দেশমতে কালো কালির বল পয়েন্ট কলম দিয়ে পূরণ করতে হবে: বিসিএস পরীক্ষা বিধিমালা অনুযায়ী ক্ষেত্র বিশেষে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে ফৌজদারি আইনে সোপর্দ করা যাবে এবং সার্ভিসে নিয়োগের পর কোন প্রার্থীর ক্ষেত্রে এরূপ তথ্য প্রকাশ ও তা প্রমাণ হলে তাকে চাকরি হতে বরখাস্ত করা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ যে কোন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিটি বিষয়ের জন্য প্রার্থীদের একটি করে OMR ফরম যুক্ত মূল উত্তরপত্র দেয়া হবে। সংযুক্ত OMR ফরমে প্রার্থীর জন্য নির্ধারিত প্রথম অংশে প্রার্থী তার নাম লিখবেন, বিষয় কোডের ঘরে পরীক্ষা সূচির প্রথমাংশে পদ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পাশে বর্ণিত তিন ডিজিটের কোড নম্বরটি প্রার্থী OMR ফরমে ‘বিষয় কোডের’ ঘরের ওপরের ফাঁকা অংশে লিখে নিচের সংশ্লিষ্ট ৩টি বৃত্ত বল পয়েন্ট কলম দিয়ে পূরণ করবেন। যেমন: “ইংরেজি (পদ-সংশ্লিষ্ট)’ বিষয়ের কোড ‘১২১’। সে ক্ষেত্রে বিষয় কোডের ঘরে ‘১২১’ লিখে নিচের কোডের সংশ্লিষ্ট ৩টি বৃত্ত পূরণ করতে হবে।
প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৮ (আট) ডিজিট সংবলিত। রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ঘরে প্রার্থীর প্রবেশপত্রে মুদ্রিত রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি ওপরের ঘরে সাবধানতার সাথে বল পয়েন্ট কলম দিয়ে লিখে নীচের সংশ্লিষ্ট বৃত্তসমূহ পূরণ করবেন। নামের ঘরে প্রার্থীর আবেদনপত্রে এবং প্রবেশপত্রে উল্লেখ অনুযায়ী প্রার্থী তার নাম লিখবেন এবং স্বাক্ষরের ঘরে প্রবেশপত্রের অনুরূপ স্বাক্ষর করবেন এবং বিষয়ের ঘরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের নাম লিখবেন। পরীক্ষা কেন্দ্রের ঘরে প্রার্থীর জন্য প্রযোজ্য বৃত্তটি তিনি বল পয়েন্ট কলম দিয়ে পূরণ করবেন। অতিরিক্ত উত্তরপত্রের ক্রমিক নম্বরের ঘরটি প্রযোজ্য সংখ্যা দিয়ে পূরণ করতে হবে। প্রতিটি অতিরিক্ত উত্তরপত্রের জন্য একটি করে বৃত্ত পূরণ করতে হবে।
Discussion about this post