নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) গতকাল শনিবার ‘দেশীয় গবেষণা ও গবেষণায় ক্যারিয়ার উৎসব-২০২২’ শীর্ষক দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ঢাকা ইউনিভার্সিটি সায়েন্স সোসাইটি (ডিইউএসএস)। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সার্বিক সহায়তায় অত্যাধুনিক স্মিথ ক্যাসেগ্রেইন টেলিস্কোপের মাধ্যমে রাতে মহাকাশ পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়।
গত বুধবার (৩১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন সায়েন্স সোসাইটির সভাপতি মাহমুদা কবির শাওন, সাধারণ সম্পাদক মো. অর্ক অয়ন চৌধুরী ও জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সিনিয়র কিউরেটর সুকল্যাণ বাছার।
তারা বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এবং সেখানে গবেষণা ও ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠার সুযোগ সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমাদের এই ক্যারিয়ার উৎসব। এতে থাকবে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের স্টল প্রদর্শনী, বিজ্ঞান ক্লাব সম্মেলন, বাংলাদেশে গবেষণা বিষয়ক আলোচনা সভা, বিজ্ঞান বিষয়ক প্রদর্শনী এবং রাতে ছিল আকাশ পর্যবেক্ষণ।
স্টল প্রদর্শনী ও আকাশ পর্যবেক্ষণ সব অতিথি ও দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়।
গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয়ে রাত ৮টায় আকাশ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে শেষ হয় আয়োজন। বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হয় মূল আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠান। উৎসবটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং বিজ্ঞান জাদুঘরের পরিচালক (উপসচিব) এ. কে. এম. লুৎফুর রহমান সিদ্দীক।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, আমাদের সময় আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। ৩০ লাখ মানুষ তাদের জীবন বিসর্জন দিয়েছে। তোমাদের তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে। জ্ঞান বড় সম্পদ, চর্চায় বেড়ে যায়। নদীর স্রোতের মতো থেমে গেলে মরে যায়। আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে অনেক বেশি দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তোমরা যে বিষয় নিয়ে কাজ করছো, এটা আত্মস্থ করার চেষ্টা করো। উপভোগ করো। তোমাকে বিষয়টা উপভোগ করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে তোমরা জাতি সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সরকার সকল আয়োজনে পাশে থাকবে।
প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল সাইন্টিফিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল ডকুমেন্টেশন সেন্টার, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফিক অ্যান্ড মেরিটাইম ইনস্টিটিউট, চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন, ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সাইন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস, ক্যান্সার কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ ট্রাস্ট, ইনভেন্ট টেকনোলজি লিমিটেড, রেড গ্রিন রিসার্চ সেন্টার, সেন্টার ফর বায়োইনফরমেটিক্স অলার্নিং এডভান্সমেন্ট অ্যান্ড সিস্টেমিক ট্রেইনিং, বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট, প্ল্যান্ট বায়োটেকনোলজি ল্যাব, মলিকিউলার বায়োলজি ল্যাবের প্রতিনিধিগণও উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post