শিক্ষার আলো ডেস্ক
পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৪০ মিনিট পর কেন্দ্রে যাওয়ায় লক্ষ্মীপুরের সাত শিক্ষার্থীকে দাখিলের (এসএসসি) জীববিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। তারা সবাই জেলার রামগতি উপজেলার চরআব্দুল্লাহ মাদরাসাতুল জামেয়াতুল ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আলেকজান্ডার কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
এতে করে পরীক্ষা দিতে না পেরে এসব শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন এখন অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। এ ঘটনা তাৎক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবহিত হয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) বিষয়টি আমলে নেন। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় কেন্দ্র সুপার মো. তৈয়ব আলীকে শোকজ করা হয়।
পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা শিক্ষার্থীরা হলো- নুসরাত জাহান ইতি, আকিব হোসেন, শরীফুল ইসলাম, আরমান হোসেন, নিহা আক্তার, রোমানা আক্তারা ও জিয়া উদ্দিন শুভ।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক রবি শংকর চন্দ্র দাস তাদের জানান নির্ধারিত তারিখে জীববিজ্ঞান পরীক্ষা হবে না। তাই তারা ওইদিন পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবার কোনো প্রস্তুতি রাখেনি। কিন্তু সকালে কেন্দ্র থেকে তাদের অন্য এক মাদরাসার শিক্ষক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানান। খবর পেয়ে হন্তদন্ত হয়ে কেন্দ্রে ছুটে আসে তারা। কিন্তু ততক্ষণে তাদের ৪০ মিনিট দেরি হয়ে যায়। এ কারণে হল সুপার তাদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেন। ফলে তারা পরীক্ষা না দিয়ে ফিরে আসতে হয়।
শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, চরআব্দুল্লাহ মাদরাসাতুল জামেয়াতুল ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার অধ্যক্ষ আনম আব্দুল হাকিম ও আলেকজান্ডার কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. তৈয়ব আলীর সাথে মনস্তান্তিক দ্বন্দ্বের কারণে তারা ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। এখন তাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষা জীবন অন্ধকারের মধ্যে পড়েছে বলে হতাশা ব্যক্ত করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এ বিষয়ে হল সুপার ও আলেকজান্ডার কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. তৈয়ব আলী জানান, দ্বন্দ্বের বিষয়টি সঠিক নয়। জীববিজ্ঞানের পরীক্ষায় সাতজন পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময় (১১ ঘটিকা) পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়নি। বিষয়টি তাৎক্ষণিক তাদের প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী শিক্ষককে অবহিত করা হয়। কিন্তু ৪০ মিনিট পর কেন্দ্রে উপস্থিত হলে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) অবহিত করা হলে তিনি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এজন্য নিয়ম অনুযায়ী তাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়নি।
ডিসি মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র সুপারকে শোকজ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভুক্তভুগী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এর কোনো গাফিলতি রয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ইউএনওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post